বন্ধু ট্রাম্পের যুদ্ধ থামানোর নির্দেশের পরেও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর ইজরায়েলের সেনা বাহিনীর।
শনিবার গাজায় ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এদিন ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। গাজা শহরের একটি বাড়িতে এই হামলা হয়। চারজন নিহত হয়েছেন এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে আরও দুজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার ভোরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে ট্রাম্পের নির্দেশের পর গাজায় ইজরায়েল সেনাকে হামলা চালানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশের পরেও চলছে হামলা।
উল্লেখ্য মার্কিন মদতেই গাজায় হামলা চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল। যখন গোটা গাজা শেষের পথে সেই সময় ‘শান্তির প্রতীক’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছে ট্রাম্প। গোটা বিশ্ব যখন জায়নবাদী হামলার নিন্দা করেছে তখন চুপ ছিল আমেরিকা। উল্টে তাতে মদত দিয়েছে। আর এই সময়কালে নিন্দনীয় ভূমিকা পালন করেছে ভারত। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কোন কথা তারা বলেনি, উল্টে ট্রাম্পের হামলা থামানোর বার্তার প্রশংসা এদিন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্যালেস্তাইনের মুক্তি সংগ্রামের সাথে সব সময় থেকেছে ভারত, কিন্তু বর্তমান সরকার সেই নীতি থেকে সড়ে এসে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথা নত করেছে।
দু বছর ধরে গাজায় ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে জায়নবাদী ইজরায়েল। গোটা গাজার জনপদ ধ্বংসের মুখে। একদিকে মহামারি, অপুষ্টি অন্যদিকে মুহুর্মুহ বোমাবর্ষণ। প্রতিবাদ হচ্ছে সর্বত্র। একাধিক বার পথে নেমেছে সিপিআই(এম) সহ বিভিন্ন বামপন্থী দল ও গণ সংগঠন গুলি। এদিন ফের পথে নামছে তারা।
গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ বহর 'ফ্লোটিলা'র উপর ইজরায়েলী আক্রমণ, আটক ও গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে, গ্রেটা থুনবার্গ সহ আন্তর্জাতিক পরিবেশবিদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে, অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবীতে, মার্কিন মদতপুষ্ট যুদ্ধবাজ ইজরায়েলকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে কলকাতায় ফের পথে নামছে রাজ্যের বামপন্থী দল সমূহ। শনিবার বিকেল ৪টে সময় রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু হবে এই মিছিল। ধর্মতলার লেনিনমূর্তি সামনে এসে শেষ হবে এই মিছিল।
প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় হল ছেড়ে বেরিয়ে যান বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। যার ফলে স্পষ্ট নেতানিয়াহু এবং ইজরায়েল-মার্কিন নীতিতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সব দেশের মধ্যেই।
Comments :0