নেপাল সরকারের এই পদক্ষেপ জনগণ, বিশেষ করে, অল্পবয়সীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলেছে। কাঠমান্ডুতে প্রবল বিক্ষোভ চলে।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে চলে বিক্ষোভ ভাঙচুর। গতকালই পদত্যাগ করেন ওই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে প্রায় ১১ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
নেপালের এই ঘটনায় বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতনের ছায়া দেখছেন অনেকে। গতবছর জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৫ আগস্ট ২০২৫ পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা।
নেপালে যারা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন তাদের বেশির ভাগটাই যুববয়সী। কোন বারনৈতিক পরিচয় নেই তাদের, নেই কোন রাজনৈতিক সমর্থনও। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কাদের সমর্থনে এই আন্দোলন ব্যাপক চেহারার আকার নিলো এবং সরকারের পতন ঘটালো। এই বিক্ষোভের পিছনে হামি নেপাল বলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা ২০১৫ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি হয়। গত কয়েক দিন এই সংস্থাকে বলতে শোনা গিয়েছে সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। ছাত্র ছাত্রীদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে প্রয়োজনে স্কুলের জামা পড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হতে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে এই স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা বেশ কয়েকবার বিদেশী অনুদান রয়েছে। তাতে কোকাকোলারও অনুদান রয়েছে বলে জানাচ্ছে একাংশ। ভুবনেশ্বরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংস্থা এবং তার ঘনিষ্টদের সরব হতে দেখা গিয়েছে, প্রচারেও নামতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে একাংশ। সামাজিকমাধ্যমে নিশেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সেদেশের আইন না মানার অভিযোগকে সামনে রেখে। নেপালের সুপ্রিম কোর্ট এই মর্মে নির্দেশও দিয়েছিল, সেই নির্দেশ এখন প্রয়োগ করা হলো কেন তা অস্পষ্ট। তবে নেপালের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য সরকারের দুর্নীতি এবং স্বজন পোষন এই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।
Nepal
পদত্যাগ করলেন ওলি

×
মন্তব্যসমূহ :0