‘আছে ক্লাসরুম, আছে চক, আছে টিচারের বক বক...’ একটি বাংলা সিনেমার গানের লাইন। কিন্তু বাস্তবের সাথে এই গানের লাইনের আর কোন মিল নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলেছে পশ্চিমবঙ্গে ৩,৮১২ গুলো স্কুল পড়ুয়া সংখ্যা শূন্য, অথচ সেই স্কুলগুলিতে ১৭,৯৬৫ জন শিক্ষক নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। দেশজুড়ে পড়ুয়াশূন্য স্কুলে বেতন পাওয়া শিক্ষকের সংখ্যা ২০,৮১৭ জন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশে এমন ৭,৯৯৩টি স্কুল রয়েছে, যেখানে একজন ছাত্র ছাত্রীও ভর্তি হয়নি।
চলতি বছর আগস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে মোট প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৪৯,৩৬৮। যার মধ্যে ২,২১৫ স্কুলে শিক্ষক নেই অথবা একজন শিক্ষক।
বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে জানা গিয়েছে কোনও শিক্ষক নেই অথবা ১ জন শিক্ষক আছে এরকম স্কুলের সংখ্যার শীর্ষে থাকা প্রথম পাঁচটি জেলা হল পুরুলিয়া (৩৭২টি স্কুল), বাঁকুড়া (৩৭১টি স্কুল), পশ্চিম মেদিনীপুর (২২৭ টি স্কুল), পূর্ব বর্ধমান (১৭৮টি স্কুল) এবং বীরভূম (১৫৬টি স্কুল)। এই তালিকায় নীচের দিকে আছে শিলিগুড়ি (১১), মালদা (১২), হাওড়া (১৩), কলকাতা (১৮) এবং আলিপুরদুয়ার (২৭)।
২০১২ থেকে ২০২২-এর মার্চ মাস পর্যন্ত তথ্য অনুসারে, সবথেকে বেশি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। প্রায় ১,১৯২ গুলো স্কুল। তালিকায় এর পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নাম। ২০১২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল ঝাড়গ্রাম। যা পরে আলাদা জেলা হয়েছে। ২০১২ সালে ঝাড়গ্রাম সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ছিল ৮,৪০৪। যা ২০২২-এর পরিসংখ্যান অনুসারে কমে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫,৪১১ এবং ঝাড়গ্রামে ১৯৪৬। মোট ৭,৩৫৭। এক্ষেত্রেও প্রাথমিক স্কুল কমেছে ১,০৪৭। একইভাবে ২০১২ থেকে ২০২২-এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাথমিক স্কুল কমেছিল ৮৬৭টি।
School Without Student
রাজ্যের ৩,৮১২টি স্কুলের নেই কোন পড়ুয়া বলছে সরকারি পরিসংখ্যা
×
Comments :0