MGNREGA Repeal Bill

একশো দিন কাজ বাতিলের খসড়া বিলে গ্রামীণ রোজগার পরিষদের প্রস্তাব

জাতীয়

একশো দিন কাজের আইন বদলে যে বিল পেশ করতে চাইছে কেন্দ্র তাতে বিকশিত ভারত জাতীয় গ্রামীণ পরিকাঠামো প্রকল্পের আওতায় কাজের কথা বলা হয়েছে। 
বিলের যে খসড়া দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যে জল সৃজন বিষয়ক কাজ, গ্রামীণ পরিকাঠামোর ভিত্তি তৈরি করে এমন কাজ, জীবিকার সঙ্গে সংযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। 
কিন্তু এই সব কাজের সংস্থানই মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প আইনে রয়েছে। 
নতুন বিলে কেন্দ্রীয় গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই পরিষদে চেয়ারপার্সনের সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির প্রতিনিধিরা থাকবেন। পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫ সদস্য থাকবেন। গ্রামের দুর্বলতম অংশের প্রতিনিধি সংগঠনের প্রতিনিধিদের পরিষদে জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সদস্য সচিব পদে নিয়োগ করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে। 
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বদলে পরিষদ গঠিত হলে দায়ভার ঠেলতে কেন্দ্রের সুবিধা হবে বলেও মনে করছে একাংশ। 
মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন পাশ হয় ইউপিএ-১ সরকারের মেয়াদে। সেই সময়ে কেন্দ্রের কংগ্রেস জোট সরকারের সমর্থক বামপন্থীরাই এই আইন পাশে কেন্দ্রকে বাধ্য করেছিলেন। 
মোদী সরকারের মেয়াদে নানা কৌশলে একশো দিন কাজের প্রয়োগ আটকানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অভিজ্ঞতা আরও ভয়ঙ্কর। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার চরম দুর্নীতি চালিয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে দুর্নীতিকে কারণ দেখিয়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। কিন্তু জেলাস্তরে এই প্রকল্পের নোডাল আধিকারিক কোনও জেলাশাসক বা তৃণমূলের পঞ্চায়েতের কোনও মাথাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেনি আইনে সংস্থান থাকা সত্ত্বেও। 
সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও কাজ আটকাতে না পেরে নতুন শর্ত দিয়েছে রাজ্যকে। তিন মাস অন্তর শ্রম বাজেট পেশ করতে বলেছে। কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকাকে অজুহাত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শর্ত মানবেন না বলে জানিয়েছেন। নিট ফল, রাজ্যে কবে চালু হবে কাজ তাকে ঘিরে চলছে চরম অনিশ্চয়তা। রাজ্যের কৃষক ও খেতমজুরদের মঞ্চ ২৩ ডিসেম্বর রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে। 
মোদী সরকার গোড়া থেকে এই আইনের বিপক্ষে কথা বলে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে ‘মাটি কাটার আইন’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন সংসদে। কিন্তু করোনা মহামারী এবং লকডাউন পর্বে বিপুল সংখ্যক মানুষের একমাত্র সহায় হয়ে উঠেছিল এই প্রকল্পই। কেবল বাজেট বরাদ্দ কমানো নয়, শ্রমদিবসও কেটে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।

Comments :0

Login to leave a comment