SSC SUPREME COURT

এসএসসি’র অযোগ্য তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয় রাজ্য

এসএসসির অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলো সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএসসিকে ফের নতুন করে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চের বক্তব্য, অযোগ্যদের যেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা অস্পষ্ট। তালিকায় বিষয় ভিত্তিক এবং সংরক্ষন ভিত্তিক তথ্য থাকতে বলে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে। 
এদিন এসএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নভেম্বর মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেপ্টেম্বর মাসের ৭ এবং ১৪ তারিখ নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পর এসএসসি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল শারদীয়ার পর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। এদিনও আদালতের কাছে একই কথা বলেছে এসএসসি।
উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি ১৮০৬ জন অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে কিন্তু এই তালিকা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। 
তালিকায় প্রথমে ছিল ১৮০৪জনের নাম। শুধু রোল নম্বর ও নাম রয়েছে তালিকায়। কোনও জেলা, কোন স্কুলে তাঁরা এতদিন অবৈধভাবে শিক্ষকতা করলেন তার কোনও উল্লেখ নেই। এমনকি রাতে একটার পরে সেই তালিকা আবার বেড়ে যায়। যুক্ত হয় আরও দুটি নাম ও রোল নম্বর। এই তালিকা সামনে আসার পরেই নানান মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, সংখ্যা এত কম কেন? এর আগে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক শুনানিতে যে সংখ্যার কথা জানা ছিল তার অর্ধেকেরও কম না রয়েছে কমিশনের এই তালিকা। দাগিদের এই তালিকাতেও অস্বচ্ছ্তা রয়েছে, অসম্পূর্ণ তালিকা-অভিযোগ তোলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন— ‘সিবিআই’র তালিকায় তো আরও বেশি নাম ছিল। এখানে এত কম কেন? সব দাগিদের নাম কী তালিকায় রয়েছে?’
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ রাজ্য সরকার এবং এসএসসিকে চরম ভর্ৎসনা করে স্পষ্টভাবে বলেছিল, নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও দাগি প্রার্থীকে বসতে দেওয়া যাবে না। এই পরীক্ষার দিকে সুপ্রিম কোর্ট নিজে নজর রাখবে। দাগি প্রার্থীকে পরীক্ষায় বসালে তার ব্যবস্থা সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই গ্রহণ করবে। 
তবে এসএসসি’ র প্রকাশিত দাগীদের তালিকায় সংখ্যা কম নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কমিশনের অস্বস্তি আরো বেড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআই এর আগে যে তালিকা দিয়েছিল বিস্তারিতভাবে, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ ভাগ ভাগ করে সেই তালিকার অযোগ্য, দাগিদের সংখ্যার সঙ্গে কোনও মিল নেই। শুধু তাই নয়, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশে প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগপ্রার্থীর তালিকা এবং সুপারিশের থেকেই বেশি সংখ্যায় নিয়োগের যে অভিযোগ ছিল সেই সংখ্যার কোনও উল্লেখ নেই। তাহলে তাঁদের নাম কোথায় মিশে আছে। পরিকল্পিতভাবেই কী এই ত্রুটিপূর্ণ তালিকা?

Comments :0

Login to leave a comment