পূজা বোস
"মন্দির- মসজিদ রাজনীতির নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে আমাদের কাজ আর পেটের ভাত"। 'বাংলা বাঁচাও যাত্রা '-র পরপর সমাবেশে এমনি বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি। নদীয়ার
নবদ্বীপের পর শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানে পথচলা শুরু করেছে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’।
নবদ্বীপে মীনাক্ষী বলেন , "দুর্নীতি , অপশাসন গুণ্ডা রাজ বাড়লে সমস্যা হয় মেহনতি মানুষের। প্রশাসনকে সংবিধান অনুযায়ী করতে হবে। তবে মেহনতি মানুষ মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবেন। বামফ্রন্ট যখন সরকার চালাতো তখন প্রতি ব্লকে স্কুল হয়েছে। তৃণমূল সরকারের মেয়াদে রাজ্যে হাজার হাজার স্কুল বন্ধের উল্লেখ করেন তিনি।
মীনাক্ষী বলেন, “মেয়েদের উপর অন্যায় অত্যাচারের বিচার নেই। তামান্না, অভয়া, মেয়েদের পাচারের কোনো বিচার নেই। রোজ ২৫০০ বেশি মেয়ে পাচার হচ্ছে। তথ্য নেই রাজ্য সরকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী রোজ বলেন কাজ দিয়েছেন কিন্তু তার কোনো তথ্য দেখাতে পারেন না। ওদের দলের নেতারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে কারণ সরকার মিথ্যে বলছে।”
মীনাক্ষী বলেন যে মমতা ব্যানার্জি বিজেপির জোটসঙ্গী হিসেবে সংসদে অবস্থান নিয়েছিলেন এনআরসি’র পক্ষে।
এখন বলছেন এনআরসি হবে না। আবার ডিটেনশন সেন্টারের জন্য জমি দিয়েছেন কেন্দ্রকে।
তিনি বলেন, “মন্দির মসজিদ রাজনীতির নিচে আমাদের কাজ আর পেটের ভাত চাপা পড়ে রয়েছে ।"
মীনাক্ষী আরও বলেন, পৌরসভা না চাইলে জলাজমি ভরাট হয় না। সরকারি কাজ কাগজে হয়। বিডিও ,এসপি, মুখ্যমন্ত্রীর চোখে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই হয়ত উনি বাংলার উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন।
এদর না হটালে, দুর্নীতি বাংলা ছাড়বে না। শ্মশান ঘাটেও বিনা স্লিপে বেশি টাকা নিচ্ছে। কাজ না দিয়ে কমবয়সীদের দুর্নীতিতে যোগ করে দিচ্ছে। আসলে, পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত নষ্ট হচ্ছে।
মীনাক্ষী বলেন, “ধর্মের নামে একে অপরকে লড়িয়ে দেওয়াটা রাজনীতি নয়। সংবিধান তা অনুমোদন করে না।”
শুক্রবার সমুদ্রগরের সভা থেকেও পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে অর্থাৎ বাংলা মানুষের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে বুথে বুথে লাল ঝান্ডার লড়াইকে সংঘবদ্ধ করার কথা বলেন তিনি।
Comments :0