Angikar Yatra

হক আদায়ে অঙ্গীকার যাত্রা হাওড়ায়

জেলা

বালি গ্রামাঞ্চলে হকের দাবিতে অঙ্গীকার যাত্রা।ছবি: শুভাশিস দেব সরকার।

মানুষের হক আদায়ের জন্য অনুষ্ঠিত হলো অঙ্গীকার যাত্রা। নিস্কো ও গ্যাস গ্ৰু-ডী’র সরকারি জমি প্রোমোটিং’র জন্য হস্তান্তর করা চলবে না সহ ছয় দফা দাবিতে রবিবার সিপিআই(এম) বালি জগাছা উত্তর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে অঙ্গীকার যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বালি গ্রামাঞ্চলে উত্তর ঘোষ পাড়া কিশোর ভারতী অগ্ৰণী ক্লাবের মাঠ থেকে অঙ্গীকার যাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে অঙ্গীকার যাত্রা নিস্কো হাউজিং-এ শেষ হয়। অঙ্গীকার যাত্রার উদ্ধোধন করেন সিপিআই(এম) হাওড়া জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। অঙ্গীকার যাত্রায় পাঁচ শতাধিক পদযাত্রীদের সাথে পা মেলান দিলীপ ঘোষ,  রাজ্য বামফ্রন্টের প্রবীণ নেতা মঞ্জু কুমার মজুমদার, পার্টি নেতা গৌতম হালদার, কল্যানী গুহ, তুষার ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। অঙ্গীকার যাত্রার সূচনা ও শেষে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ,  গৌতম হালদার ও তুষার ভট্টাচার্য। 
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের স্বার্থে নিস্কো কারখানার জমিতে নতুন কারখানা স্থাপন, গ্যাস গীড’র জমিতে সরকারি হাসপাতাল স্থাপন, বালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে মেটারনিটি হোমে রূপান্তরিত করা, বালি গ্রামাঞ্চলে নল বাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া, বালি গ্রামাঞ্চলের জল নিকাশির সুবন্দোবস্ত ও বালি গ্রামাঞ্চলকে পৌরসভার মর্যাদা দিতে হবে এলাকার মানুষের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়েই এদিন হয় অঙ্গীকার যাত্রা। 
প্রসঙ্গত বেলুড় স্টেশনের পাশে ১৪১ একর জমির উপর ছিল রাজ্য সরকার অধিগৃহীত নিস্কো কারখানা। বারে বারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১৯৮৪ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার নিস্কো কারখানা অধিগ্রহণ করে। ২০০১ সালে কারখানার আধুনিকিকরণ করে বামফ্রন্ট সরকার। ২০১০ সালে রাজ্য সরকার স্টিল অথারিটি অব ইন্ডিয়া সাথে নিস্কোকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করে। ২০১১ সালে সেলের সাথে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নিস্কোকে যুক্ত করা যায়নি। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেলের সাথে নিস্কোকে যুক্ত করার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ২০১৪ সালে কারখানাটি বন্ধ করে শ্রমিকদের অন্যত্র বদলি করা হয়। তারপর থেকেই রাতের অন্ধকারে কোটি কোটি টাকার মেশিন কারখানা থেকে বের করে নেওয়া হয়। চীরতরে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য সরকার অধিগৃহীত নিস্কো কারখানা। বর্তমানে রাজ্য সরকার কারখানার জমি বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয় কারখানার শ্রমিক সহ স্থানীয় মানুষজন। রাজ্যে যখন বেকার যুবকদের সংখ্যা বাড়ছে তখন তাদের স্বার্থে নিস্কো কারখানার জমিতে কারখানা তৈরির দাবি জানাতে থাকে বিভিন্ন গণসংগঠন সহ বালি গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা। কোন ভাবেই কারখানার জমি বেসরকারি মালিকদের থাকে তুলে দেবার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। 

Comments :0

Login to leave a comment