Bangla Bachao Yatra

স্থায়ী বাঁধ, নিরাপদ জমির দাবি ভাঙনে ঘরহারাদের

রাজ্য জেলা বাংলা বাঁচাও যাত্রা

অরিজিৎ মন্ডল, ভুতনি

ভুতনির চরে ভাঙন কবলিত গ্রামের পর গ্রাম। বারবার হারিয়েছেন ঘর। ২০২৫ এর শেষ বর্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি করা অস্থায়ী বাঁধের উপর বর্তমানে বসবাস প্রায় ৫০০ পরিবারের।  
উত্তর চন্ডিপুর থেকে ভুতনির চর প্রায় ৪ কিলোমিটার। অন্ধকার রাস্তায় একেবারে প্রান্তিক মানুষের বসবাস। টোটো করে প্রায় ২ কিলোমিটার যাওয়ার পর পথেই পড়ল ডিওয়াইএফআই পরিচালিত সুবোধ চৌধুরী পাঠশালা। 
টোটো থেকে নেমেই প্রায় ২০ ধাপ সিঁড়ির সমান উঁচু রাস্তা চলে গিয়েছে অস্থায়ী বাঁধের দিকে। অস্থায়ী বাঁধের ডানদিক ও বাঁদিকেই রয়েছে মানুষের বসবাসের জায়গা। সবগুলি প্রায় ভাঙা টিন দর্মা ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। ওই জায়গাতেই বাঁশ দিয়ে তৈরি বিছানার ওপর রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধ। ওই একই ঘরে রয়েছে ছাগলও। 
চলতি বছর বর্ষার বন্যার পর থেকেই এই অস্থায়ী বাঁধের উপর রয়েছেন এই পরিবারগুলি। এই বাঁধের পাশেই বাড়িগুলি চলে গিয়েছে ভাঙনে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা সামনের বর্ষাতে এই অস্থায়ী বাঁধ আবারও ভাঙবে। অথচ বাঁধের গায়েই দেওয়া হয় জমি, বছর ঘুরলেই যে জমি যাবে নদীর পেটে।
এই চরেরই বাসিন্দা সুকুন মন্ডল ও সাবিত্রী মন্ডল। তাদের পরিবারে মোট ছয় জন রয়েছেন এই চরে। বাড়ির কোনো পুরুষই এখানে থাকেন না। কাজের খোঁজে প্রত্যেকেই পরিযায়ী হয়েছেন দিল্লি বা গুজরাট বা উত্তর ভারতের কোনও রাজ্যে। যখন জমি জায়গা ছিল তখন সেই জমিতে চাষ করেই চলত পরিবার।
চার পাঁচ মাস অন্তর পুরুষরা বাড়ি ফেরেন। মাঝে মাঝে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন পরিবারের কাছে। 
তাঁদের এখন দাবি, তাদের যে জমি বাড়ি গেছে ভাঙনে, সরকার সঠিকভাবে পুনর্বাসন দিক তাদের। স্থায়ী ভাবে সরকার বাঁধ দিক এই এলাকায়। 
সুকুন মন্ডলের অভিযোগ ভোট আসে ভোট যায়, শাসক দল নানান অজুহাত খাড়া করে তাদেরকে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করে। একাধিক প্রতিশ্রুতি থাকলেও একটিও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় না। উল্টে মাথার ঝাঁপটুকুও ভাঙনে চলে যাওয়ার পরও ভ্রুক্ষেপ নেই সরকারের। চলতি বর্ষাতে স্থানীয় বিডিও এসে প্রতি পরিবার কিছু একটি মাত্র করে ত্রিপল দিয়ে গিয়েছে। শীতের জন্য কম্বল এলেও একটিও কম্বল পাননি এই পরিবার গুলি।
এখানে ঘরহারাদের নিয়ে বৈঠক করল সিপিআই(এম)। সারা বছর এই লড়াই চালায় সিপিআই(এম)। ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি, সুমিত দে। ছিলেন মালদহে জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা।

Comments :0

Login to leave a comment