Post editorial on panchayat election

বুথ স্তরে আসল লড়াই লড়তে হবে

সম্পাদকীয় বিভাগ


গৌতম দেব 
প্রশ্নটা শুধুমাত্র কোনও নির্বাচনের এবং সেই নির্বাচনের সময় নির্ঘণ্ট সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে কি করেনি তার না। নতুন একটা শব্দবন্ধ রাজনীতির জগতে এসেছে, তা হচ্ছে ‘নিয়োগ দুর্নীতি’। রাজ্যবাসীকে দোষ দিলে হবে না, দেশের মধ্যে পশ্চিমবাংলাটা অন্যতম শিক্ষিত, সুভদ্র রাজ্য। সংগ্রামী গণতান্ত্রিক রাজ্য। সেই রাজ্য এখন যেখানেই যান ‘চোর ধরো’ আওয়াজে মুখরিত সাধারণ মানুষজন। বিপুল পরিশ্রম করেও মানুষ খুনের কেসেও, পয়েন্ট ধরে ধরে, আলোচনা করে কোর্টে আসামিকে নির্দোষ সাজাবার চেষ্টা করাই যে উকিল বা ব্যারিস্টারের কাজ তিনি বা তাঁরাও এই কেস ডিফেন্ড করতে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। সাম্মানিক যতই হোক না কেন, ব্যক্তি যতই নামী এবং সেকারণে দামি হোক না কেন রাজ্যময় এই চোর ধরার অভিযানে সব সায় যেন একদিকে, বাদীপক্ষে।
কাগজেপত্রে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে যা সব নীতিহীন খবর দেখা যাচ্ছে তাতে বিশ্বাস করতেও অসুবিধা হচ্ছে না শত শত কোটি টাকা কয়েকজন করিতকর্মা লোকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে শুধু তাই নয়, এই লুটপাটের সাথে এত সংখ্যক মানুষ এবং নায়ক-নায়িকারা ও অন্যান্য কুশীলব যুক্ত হয়েছেন যার শেষ বার করতে ইডি’র এক কর্তার পেঁয়াজ ছাড়ানোর গল্প মনে পড়ে যাচ্ছে। এমন সুসংগঠিতভাবে এবং মিলিটারির মত সুশৃঙ্খলায় আবদ্ধ হয়ে সর্বোপরি গোপনীয়তার সংজ্ঞায় বিপুল মানুষকে যুক্ত করে একটা কাজ করা! বেনিফিসিয়ারিও কম না!

বিএসএফ’র হেলিকপ্টারে চড়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যেভাবে নামলেন সিউড়িতে, আর যা বললেন তাতে কেন এসেছিলেন আর ৩০/৩৫ মিনিটের ভাষণে যে সব বিষয়ের উত্থাপন করলেন তাতে কী তিনি চান বা তাঁর দল চায় তা স্পষ্ট হলো না। বাংলার মানুষ কংগ্রেস কমিউনিস্টদের লড়াই অনেকদিন ধরে দেখেছে। কিন্তু বেদ, গীতা সাথে নিয়ে পুরুত ঠাকুররা  রামনবমী সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে বাধা কাটাতে হনুমানের মতো বিশল্যকরণী বয়ে নিয়ে আসতে পারে, এমন হিন্দু জাগরণ যা বিজেপি ঘটাতে চাইছে, তা কখনো দেখেনি। এটাই ডবল ইঞ্জিন সরকারের মর্মকথা। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে তারা ভোট বাড়াতে চায় এবং দ্রুত।

এই প্রেক্ষিতে সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে বিশেষ করে রাজ্য কমিটি এবং নিচের কমিটিগুলির পক্ষ থেকে সার্কুলার, কোনোটা বিস্তারিত, কোনোটা সংক্ষিপ্ত, সমগ্র পার্টির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দেওয়া হয়েছে। শাখাতে অনেক ক্ষেত্রেই তা পঠিত হয়েছে এবং আলোচনাও হয়েছে। এখন কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণের পর্যায়ে আছে। কমরেডরা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছেন যে লাইন এন্ড টাইম অব ইলেকশনের কথা বিবেচনা করে এই সব সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত, লোকসভা এবং খানিকটা দূরে থাকলেও বিধানসভার নির্বাচন বিবেচনার মধ্যে রেখে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। নির্বাচন দিনক্ষণ, গণনা, নির্বাচকদের জনবিন্যাস প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি আলোচনার মধ্যে আসে। কিন্তু প্রধান ও প্রাথমিক কাজ হিসাবে বুথ কমিটিকে আমরা কেন এত গুরুত্ব দিয়ে দেখি এই সত্য পার্টির বিভিন্ন স্তরে কমরেডদের কাছে পরিষ্কার আছে। আর না থাকলে পার্টি বিপদে পড়বে।  সরকারিভাবে নির্বাচনে প্রাথমিক ক্ষেত্র হচ্ছে বুথ। বুথের ভোটার তালিকাও প্রস্তুত হয়। নির্বাচনের মূল কর্তব্য বুথ ভিত্তিক হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের সর্বভারতীয় এবং রাজ্য স্তরে নির্দেশাবলী জানা বোঝা প্রাথমিক কর্তব্য, যা বুথ কমিটির অন্যতম কাজ। এখন আমাদের রাজ্যে বুথের সংখ্যা প্রায় ৭৭ হাজার আর পার্টি সদস্য সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার। এই পার্টি সদস্যরা এতগুলি পার্টি শাখায় বিভক্ত হয়ে দৈনন্দিন পার্টির কাজ করে চলেন। পার্টি সদস্য রিক্রুট করার ক্ষেত্রে লেনিনের পদ্ধতি আমাদের খেয়াল রাখতে হয়। তা হচ্ছে যে কোনও জায়গায় যে কোনও স্থানে মানুষ সমশ্রেণিভুক্ত বা সমগোত্রীয় (হোমোজিনিয়াস) হন না।  বিভিন্ন ভাগে মানুষ বিভক্ত। ধর্ম আছে, একই ধর্মের মধ্যে জাতপাতের ভেদাভেদ আছে, কেউ বা কালো, কেউ বা ফর্সা, কেউ বা হলুদ রঙের। কিন্তু এই ভেদাভেদের মধ্যে মার্কস, এঙ্গেলস নিজেরা বুঝলেন এবং বোঝালেন যে এই সমস্ত বিভাজনের মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত দেশেই মানুষের মধ্যে যে ভাগাভাগি সবচেয়ে সুস্পষ্ট এবং প্রধানত শত্রুতামূলক তা হলো বুর্জোয়া এবং প্রোলেতারিয়েতের মধ্যে বিভাজন। এবং এটা বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থায় পরিষ্কার বোঝা যায়।
কমিউনিস্টরা বিপ্লবে বিশ্বাসী  এবং বিপ্লবের অনিবার্যতাও তাঁরা সমাজজীবনে দেখতে পারেন। তারা অবশ্য খুনখারাপি, রক্তারক্তি এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি পছন্দ না করলেও রাষ্ট্রের ক্ষমতা শ্রমিক শ্রেণির হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। সাধারণভাবে যারা রাষ্ট্র চালান তারা রাজি হবেন না। কিন্তু বিপ্লব শান্তিপূর্ণ বা অশান্ত যে পথেই আসুক না কেন তারা উভয় পথের জন্যই তৈরি থাকবেন– যেমন রেড ভলান্টিয়াররা করে দেখিয়েছেন-  ইতিহাস সেই শিক্ষাই দেয়। দুটি পথের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে হবে। এই মৌলিক প্রশ্নের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আমাদের বুথ কমিটির তাৎপর্য বুঝতে হবে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে পার্টির সদস্যরা কী কাজ করবে আর বুথ কমিটির সদস্যরা কী কাজ করবে? বুথ কমিটির গঠন প্রকৃতি এবং কাজের সময় নির্ঘণ্ট সম্পর্কে ও শাখা ও এরিয়া কমিটি স্তরে মানুষকে নেতৃত্ব দান করে চলেছেন এমন কমরেডরা সংখ্যায় হয়তো সব এলাকায় প্রচুর নেই। তাঁরা বুঝবেন যে সেই বুথে কত ভোটার আছেন এবং সেই ভোটাররা বিভিন্ন গোষ্ঠীতে কীভাবে বিভক্ত, তাদের সংখ্যা, বয়স, পেশা, সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ ইত্যাদি। আর কিছু লোক আছে যাদের একমাত্র কাজ তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা, চাল চুরি করা, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা একটু বেশি থাকে। আবার নতুন ঝকঝকে ছেলেমেয়েরা তাদের দাবি আদায়ে ক’দিন আগে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে জেল খাটছে, কিন্তু ইনকিলাবের সমর্থনে তাদের গলার জোর কমেনি। যেহেতু রাজ্যে পরপর তিনটি নির্বাচন হবে, মোটামুটিভাবে একই বুথ কমিটিকে এই নির্বাচনগুলি পরিচালনা করতে হবে, কিন্তু হিসাবের মধ্যে রাখতে হবে যে পঞ্চায়েতের বুথ কমিটি থেকে লোকসভার বুথ কমিটি এবং বিধানসভার বুথ কমিটি আকারে কিছুটা বড় হবে। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজয় দিয়ে নির্বাচনী সংগ্রাম শুরু করতে পারি না। তার বাস্তবতাও নেই। সেই বাস্তবতাকে বুঝতে সিবিআই’র পুকুর ছেঁচার জেসিবি দিয়ে চলবে না, গঙ্গার বা অন্য নদীর পলি/নোংরা সরাবার ড্রেজার লাগবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাফল্য আমরা সুনিশ্চিত করব এবং তার মধ্য দিয়ে বুথ এলাকায় নতুন কিছু মানুষের সাথে আমাদের যোগাযোগ হবে। তার ফল আমরা লোকসভা নির্বাচনে পাব এবং পরে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এই বর্ধিত শক্তি নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাইব। স্বাভাবিকভাবেই বুথ কমিটি একই জায়গায় নাও থাকতে পারে, নতুন বন্ধুদের থেকে দুই একজনকে বুথ কমিটিতে নেওয়ার প্রশ্ন উঠবে। অর্থাৎ বুথ কমিটি সব সময় জীবন্ত এবং নতুন শক্তির সমাবেশে গতিশীল হবে।  বুথ কমিটিতে বসেই বিশেষ করে পত্রপত্রিকা এবং প্রচারপত্র, সোশাল সাইটে হস্তক্ষেপ করার বিষয়গুলি বিস্তৃতভাবে আলোচনা করতে হবে এবং দায়িত্ব ভাগ করতে হবে। মিডিয়া সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা হচ্ছে। টিভি, কাগজ,এবং সোশাল মিডিয়া সবগুলি সম্পর্কেই আমাদের বোঝাপড়া স্পষ্ট রাখতে হবে। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে আন্তর্জাতিক স্তরেও এই স্বীকৃতি মিলছে যে সোশাল মিডিয়ার ভূমিকা বাড়ছে। কয়েকটি খবরের কাগজ এবং মিডিয়া ভোটটাকে তৃণমূল এবং বিজেপি’র মধ্যে আটকে রাখতে চাইছে। এক্ষেত্রে তারা আমাদের সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে এবং বর্তমান তৃণমূল সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমস্ত অপদার্থতা আড়াল করার জন্য বামপন্থীদের চৌত্রিশ বছরের রাজত্বের সাথে তুলনামূলক আলোচনা করতে চাইছে। ভাবটা এমন যে এখন যা ঘটছে তা এমন কিছুই নয়। আগেও হয়েছে। বামফ্রন্ট সরকারের দু’-একটা দুর্বলতা আর আজকের এই লুটপাটের মধ্যে দালাল মিডিয়ারা কোনও পার্থক্য খুঁজে পায় না!
এই সব বিষয়ে ভালো করে বুঝেশুঝে এবং তত্ত্ব এবং তথ্যে সমৃদ্ধ হয়ে আমরা যদি বিজেপি এবং তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে না পারি তাহলে ওদেরকে মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করার কাজটা অসমাপ্ত থেকে যাবে।

সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় এই রাজ্যে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকেন নির্বাচনে। তাদের সংখ্যার জন্য এবং আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে গ্রামে তাদের অবস্থানের জন্য। বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক কাজকর্ম মানুষ বুঝে যাবেন, জেনে যাবেন তাদের আসল পরিকল্পনা। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। অথচ বিজেপি রাজ্যের নানান প্রান্তে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্টদের সম্পর্কে এবং কমিউনিস্ট পার্টি সম্পর্কে মানুষের অনেকটা  শ্রদ্ধাভক্তি আছে। তা বুঝতে অতিরিক্ত বুদ্ধিমান হওয়ার দরকার করে না। সে কারণে কংগ্রেস, বিজেপি অথবা তৃণমূল পার্টিগুলিতে যা চলে সিপিআই(এম)-এ তা অচল! মেদিনীপুরে এক মাস্টারমশাইয়ের দোতলা বাড়ির ছবি দেখিয়ে এই মিডিয়াই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল যে সিপিআই(এম) কী পরিমাণ দুর্নীতি করেছে! পশ্চিমবাংলার মানুষ সঠিক কারণেই এখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ব্যস্ত, মাথা খুঁজতে গিয়ে যারা সামনে আসছে রাজনীতি করা লোকও তাদের চেনেন না। কিন্তু আম্বানির পাঁচ হাজার কোটি টাকার বাড়ি আর সেখানে কটা হেলিকপ্টার নামছে আর উঠছে সেই ছবি পাবেন না। সেই আদানি-আম্বানিদের নিয়ে মমতা বা কোনও বুর্জোয়া দলের নেতারা মিটিং করেন তখন তার ছবিও খুঁজে পাওয়া যায় না।  প্রশ্ন আমাদের তুলতে হবেই– মিডিয়া তুমি কার ? এখন এই সমস্ত প্রচেষ্টা আরও চলবে আগামী দিনে কারণ কোনও মিডিয়াই দল নিরপেক্ষ নয়। সরকার এবং বড়লোকদের অনেক বেশি লাগে এই মিডিয়াদের সাহায্য, সেজন্য মিডিয়ার লাগাতার কমিউনিস্ট বিরোধী অপপ্রচার সম্পর্কে সজাগ ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।                                        
‘বুর্জোয়া রাজনীতিতে অর্থ মাতৃদুগ্ধের কাজ করে’। এটা আমেরিকার পার্লামেন্টের এক প্রবীণ স্পিকার তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন। আমাদের তো আমেরিকা যাবার দরকার নেই। কী পরিমাণ অর্থ বিজেপি বা অন্য দলগুলি ব্যয় করে তার অভিজ্ঞতা আমাদের নিজেদেরই আছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের কোনও কুপ্রভাব পড়ে না এটা ভাবলে ভুল হবে।  পশ্চিমবাংলায় এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে কমরেডদের, কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষকে ভোটের আগে রাত পাহারার ব্যবস্থা করতে হয় টাকা উৎকোচ দেওয়া ঠেকাতে।

এই টাকা পয়সা মুড়িমুড়কির মতো দাতাকর্ণদের পক্ষ থেকে দান করা হয় ভোটারদের এবং ভোটারদের বড় কর্তাদের হাতে। বিলি করা টাকার পরিমাণ পুরানো কাগজ বিক্রি করার মত করে ওজন করে নিতে হয়। আর একটু টাকা পয়সার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করতে হলে বলতে হয় মোদী বন্ধু শ্রীআদানির যে ধাক্কায় বিশ্বের বাজার পড়ে গেল তাতে তার নাফা হলো কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। তার একটা অংশ দাতাকর্ণ সেজে তিনি টিপস দিলেন মোদীভাইকে। টাটা বিড়লার চাইতে বেশি অনুসরণ করুন আম্বানিভাইদের। ভারতের সমুদ্রতীরে যত বন্দর আছে , ভারতের আকাশ চিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে যত এরোপ্লেন, নামছে আর উঠছে যে সব বিমানবন্দর থেকে, সেই আকাশ এবং সমুদ্রের সম্রাট আজ মোদীর বন্ধু আদানি। যে পয়সা মুনাফা হচ্ছে, সেই টাকার ভাগ পাবে তুমি বিজেপি। আর কোথায় তার তুলনায় নাম না জানা বন্ধু বান্ধবদের সাথে কথাবার্তার রেকর্ড রাখা মোবাইল, পানাপুকুরের কাদার মধ্যে লুকিয়ে রাখা!
এবারের ভোটের একটা বৈশিষ্ট্য থাকবে।  অন্য দল এবং আমরা যখন প্রস্তুত হচ্ছি ভোটের জন্য, প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য তখন ডিজি-কে নিয়ে সিএম জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াবেন বাংলার পুলিশ, সিভিক পুলিশ, হোমগার্ড, এনভিএফ এবং সশস্ত্র বাহিনী অন্যদিকে  সিআরপি, বিএসএফ, সিআইএসএফ, যদি দরকার হয় মিলিটারিকেও লড়িয়ে দেওয়ার জন্য আসন্ন নির্বাচন যুদ্ধে চেষ্টা হবে। এ ভোট করতে হবে মমতাকে ‘ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার’ করার জন্য, কারণ, কম যা পড়বে উনি জোগাড় করবেন! সঙ্ঘ পরিবারের যুগ যুগ ধরে প্রধানমন্ত্রী ঠিক হয়ে আছে– নাম তার নরেন্দ্র মোদী। যদিও দলটায় উপরদিকে খেয়োখেয়ি বাড়ছে। উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল পুলওয়ামাকে নিয়ে যে বোমা ফাটিয়েছেন তা মোদীকে সরাসরি মাথায় আঘাত করেছে।

Comments :0

Login to leave a comment