body cremated

অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় দেহ দাহ ১৬ ঘন্টা পর, ক্ষোভ

জেলা

দেহ নিয়ে বসে পরিবারের লোকজন।

দাবী মতো অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় মৃতদেহ দাহ হলো ১৫ ঘন্টা পর। বুধবার রাত ১২ টায় শবদেহ দাহ হবে না জানিয়ে কর্মীরা তালা চাবি লাগিয়ে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় দেহ নিয়ে গেলেও শশ্মাণ চুল্লিতে যথারীতি তালাছাবি। ঘন্টা তিনেক শবদাহ নিয়ে সেই শশ্মাণ চুল্লির সামনে পরিবারের লোকজন বসে থাকলেন। শশ্মাণে শবদাহ করতেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে নইলে হেনস্তার শিকার হতে হবে এমন নজির উঠে এলো তৃণমূল পরিচালিত ঝাড়গ্রাম পৌরসভার শশ্মাণ চুল্লিতে।

ঝাড়গ্রাম পৌরসভার শশ্মাণ চুল্লিতে এমন ঘটনায় এলাকায় শোরগোল। সকাল সাড়ে আটটায় দেহ নিয়ে গেলেও বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মৃতদেহ নিয়ে বসে থাকতে হয়। কেউ এসে বলেন, অমুক কর্মচারীকে ফোন করুন, আবার কেউ বললো এখানে অমুক লোককে গিয়ে বলুন।
পরিবারের অভিযোগ বুধবার রাত ১১টার সময় দেহ নিয়ে এলে দাহ করা যাবে কিনা জিজ্ঞেস করায় তখনই অতিরিক্ত টাকা দাবী করে শশ্মাণ চুল্লিতে কর্মরত কর্মীরা। সেই টাকা দিতে না পারায় বুধবার রাত ১২ টায় শশ্মান চুল্লির গেটে তালা লাগিয়ে কর্মীরা চলে যায় বলে অভিযোগ।

পুরাতন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা সবিতাব্রত সিংহের মৃত্যু হয় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়। শবদেহ দাহ করার জন্য শশ্মানে এসে টাকাও জমাদেন। সবকিছু জোগাড় করে দেহ আনতে রাত এগারোটা বাজবে বলায় তখনই অতিরিক্ত টাকা দাবী করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। সেই টাকা দিতে না পারায়  বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার সময় মৃতদেহ নিয়ে আসতে বলা হয়। সেই মতো পরিবারের লোকজন ও এলাকার সাধারণ মানুষ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মৃতদেহ নিয়ে পুরাতন ঝাড়গ্রাম তালতলা শ্মশান কালীমন্দির সংলগ্ন শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে আসেন। তারপরেও শ্মশানের মৃতদেহ দাহ করার চুল্লির দায়িত্বে থাকা যে সমস্ত লোকজন টালবাহানা করতে শুরু করে। শশ্মাণ চুল্লিতে তালা চাবি না খুলে কর্মীরা এড়িয়ে চলে যায়। তা নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
 সাধারণ মানুষের অভিযোগ মৃতদেহ দাহ করতে আসলে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় শ্মশানে কর্মরত লোকজনদের। এই পরিবার তাঁদের দাবি  মতো অতিরিক্ত টাকা দিতে পারেনি যার ফলেই এই মৃতদেহ দাহ করতে টালবাহানা করছে শ্মশানে থাকা কর্মীরা। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় কর্মীরা বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে এসেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করায় সেই দেহ দাহ হয় ১৬ ঘন্টা পর।



 

Comments :0

Login to leave a comment