অতিবৃষ্টি ও বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে সিঙ্গুর ব্লকের অন্তর্গত ডানকুনি মাঠের বিস্তীর্ণ কৃষি জমির মাঠ জলে ডুবে রয়েছে। এখানকার দিয়াড়া, বড়া-কমলাপুর, ঝাঁকারি, বহরমপুর, আঁটপাড়া, মহম্মদপুর, হরিপুর, ছিনামোড় সহ আশপাশের বিভিন্ন মৌজার জমি জলমগ্ন হওয়ায় চাষবাস সম্পূর্ণ বন্ধ। দিয়াড়া মাঠের কৃষক সুশান্ত মালিক জানালেন যে এবারে আষাঢ় মাস থেকে অতিবৃষ্টি হয়েছে। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুরো মাঠ জলে ডুবে যায়। ফলে যেটুকু ধান রোয়া হয়েছিল তার সবটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া মাচার পটল,করলা সহ পেঁপে গাছ মরে গেছে।মাঠ জুড়ে জল থইথই করছে। এখানকার বিভিন্ন মাঠে কমবেশি কিছু পাট চাষ হয়। সেই পাট কাটার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কিছু পাট নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই পাট কেটে সেই জমির জলেতেই পচাতে জাগ দিয়েছেন। যেটুকু ধানের বীজতলা তৈরি হয়েছিল তার সবটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কলাবাগান জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।
স্থানীয় কৃষকদের কথায় এই মাঠের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা এবং মাছের ভেড়ি ও মাঠের মধ্যে পাকা বিল্ডিং তৈরি হওয়ার কারণে মাঠের জল বেড়ানোর পথ একবারে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ডানকুনি খালের জল ও গঙ্গার জোয়ারে জলের চাপে পুরো মাঠের জলে ভরে থাকছে।
স্থানীয় মানুষের দাবি ডানকুনি খাল সহ মাঠের সমস্ত নিকাশির পথগুলি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করে মাঠকে চাষের উপযোগী করে তুলতে হবে। শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ এই মাঠের বড় অর্থকরী ফসল। এছাড়া ঢ্যাঁড়শ সহ অন্যান্য সবজি ফসলের চাষ হয়। এই মাঠের জল দ্রুত না কমলে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি সমস্যা দেখা দেবে এবং পেঁয়াজ চাষে সমস্যা হবে।
Comments :0