প্রসঙ্গত গত ২০১৩ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে লিকুইডেশনে চলে যায়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য মামলা করে কারখানার তিনটি শ্রমিক ইউনিয়ন। সেই মামলাতেই হাইকোর্ট বকেয়া টাকা মেটানো নির্দেশ 
২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বিচারক সঞ্জিব ব্যানার্জীর তত্বাবধানে লিকুইডেটর অধিগ্রহণ করে ডানলপ কারখানা। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলার পর ২০১৭ সালে অধিগৃহীত ডানলপ কারখানার গেটের দেওয়ালে ঝোলানো হয় লিকুইডেটরের নোটিস। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় লিকুইডেটরের সংস্থা হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ এবং তামিলনাড়ুতে অবস্থিত অম্বাত্তুরের ডানলপ কারখানার স্থাবর অস্থাবর বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা গন্ডা মেটাবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ডানলপের কারখানাটির মূল্য কত তা পরিমাপ করে জানা যায় ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি মূল্য হুগলীর সাহাগঞ্জ কারখানার। ৪০০ কোটি টাকার মূল্য তামিলনাড়ুর অম্বাত্তুর ডানলপ কারখানার। ডানলপের হেড অফিস বাদে সারাদেশের ডানলপ কারখানার নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি লিকুইডেট সংস্থা অধিগ্রহণ করে। লিকুইডেটরদের পক্ষ থেকে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে শ্রমিকদের যা বকেয়া আছে সেই কাগজও জমা দিতে বলা হয়। ডানলপ কারখানার সিআইটিইউ সহ আরও ২টি স্বীকৃত ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও এই কাগজ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসের আদালতের প্রথম হেয়ারিং-এ জানানো হয়, শ্রমিকদের পিএফএর কাগজ বাদে সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ মতো নভেম্বর মাসের মধ্যে আদালত মারফত সমস্ত নথি লিকুইডেটরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২০ শে সেপ্টেম্বর ডানলপ কারখানার কর্মরত ১৪১৫ জন শ্রমিকের পিএফ বাদে বকেয়া মূল্য নির্ধারিত হয় ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সাহাগঞ্জ ও অম্বাটুরে ডানলপের প্লান্ট মেশিনারি (কারখানার যন্ত্রপাতি ও কারখানার সেড ইত্যাদি)
                        
                        
 ২০২১ সালে  ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ডানলপ কারখানা এবং ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অম্বাত্তুরে ডানলপ কারখানা পরিদর্শন করে লিকুইডেটর সংস্থা সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করার জন্য। সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানা সেই সময় লিকুডেটররা পরির্দশনে আসলে এলাকার সমাজ বিরোধীরা তাদের কাজে বাধা দেয়। আদালতের নির্দেশে আসা প্রতিনিধি দলকে পুলিশ প্রশাসনও কোনও সাহায্য না করে নিশ্চুপ থাকে। যার ফলে প্রথম টেন্ডার প্রক্রিয়াই বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তী সময় ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে লিকুইডিটর সংস্থা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ব্যবসায়ীদের নিয়ে নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কারখানা পরিদর্শনে আসে। অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত নিলাম পক্রিয়ার সম্পূর্ন হবে। ১৭৩ কোটি টাকা পিএফ সবার আগে এই টাকা শ্রমিক দের  মেটাতে হবে এই নির্দেশ লিকুইডেটর কে দিয়েছে পিএফ কমিশনার।
                                        
                                    
                                
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0