প্রভাত পট্টনায়েক
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) যেকোনও ভারতীয় ব্যাঙ্কের ইক্যুইটির (মালিকানা অংশের) ওপর অনাবাসিকদের (যারা ভারতে থাকেন না) মালিকানার ১৫ শতাংশের একটি সীমা নির্ধারণ করে রেখেছে। প্রয়োজন অনুসারে এই সীমা কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে, তবে এখনও পর্যন্ত এটি আইনগতভাবে বহাল আছে। অথচ, ২০১৮ সালে কানাডার কোম্পানি ফেয়ারফ্যাক্স-এর মরিশাস-ভিত্তিক হোল্ডিং কোম্পানিকে কেরালার ক্যাথলিক সিরিয়ান ব্যাংকের ৫১ শতাংশ ইক্যুইটি ক্রয় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেউই ব্যাখ্যা করেনি, কেন ১৯৯৪ সালে (নব্য-উদারবাদী সময়ের মধ্যেই) থাইল্যান্ড-ভিত্তিক এসএস চাওলা গোষ্ঠীর এই একই ব্যাঙ্কের ৩৪ শতাংশ ইক্যুইটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টাকে ন্যায্য কারণেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল, অথচ ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশের সীমাটি লঙ্ঘন করা হলো।
এছাড়াও, খবর পাওয়া যাচ্ছে যে আইডিবিআই ব্যাঙ্ককেও একটি বিদেশি মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার উদ্যোগ চলছে। যদিও এটিকে সরকারি ব্যাঙ্ক হিসাবে ধরা হয় না, তবে ২০১৯ সাল থেকে সরকার-মালিকানাধীন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (LIC) এর সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানা (ইক্যুইটি) ধরে রেখেছে।
অতএব, কিছুক্ষেত্রে আটকানোর চেষ্টা হলেও বিদেশি সংস্থাগুলিকে ভারতীয় ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নীরবে পরিবর্তন ঘটছে বলেই মনে হচ্ছে। কেন এমনটা ঘটছে, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ন্ত্রণের শিথিলতা আসলে বৈদেশিক অর্থ আকর্ষণের এক উপায়, এধরনের নীতিগত পরিবর্তনের বেলায় সাধারয়ণভাবে এটাই যুক্তি হিসাবে তুলে ধরা হয়, এক্ষেত্রেও সেই চেষ্টাও হয়নি। অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে আর ঐ যুক্তি খাটেও না। কারণ বিদেশি সংস্থার মধ্যস্থতায় দেশীয় বাজারে আর্থিক প্রবাহের পরিমাণ খুবই নগণ্য। মাত্র ১২০০ কোটি টাকায় ‘ক্যাথলিক সিরিয়ান ব্যাঙ্ক’-এর মালিকানা অর্জন করেছে ফেয়ারফ্যাক্স সংস্থা। এর প্রায় অর্ধেকটাই, ৫৯২ কোটি টাকা ২০২৪ সালের জুন মাসে ৯.৭২ শতাংশ ইক্যুইটি বিক্রি করে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাঙ্কগুলি আর্থিক প্রবাহের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এমন কথা একেবারেই অসঙ্গতিপূর্ণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জারি করা ১৫ শতাংশ নিয়মের সীমানা কঠোরভাবে পালন করা সত্ত্বেও এর আগে আর্থিক প্রবাহ আটকায়নি। এখন যদি দেশীয় বাজারে আর্থিক প্রবাহ আসার পরিবর্তে বেরিয়েই যায়, তবে তার আসল কারণ অন্য কোথাও রয়েছে, এক্ষেত্রেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির কথা মাথায় রাখতে হবে। আর বিদেশি মালিকানা আর্থিক প্রবাহের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে — এই যুক্তি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন (facile)। সর্বোপরি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৫ শতাংশের সীমা কঠোরভাবে বজায় রাখলেও আগে আর্থিক অন্তঃপ্রবাহ (দেশের ভেতরে টাকা আসা) থেমে থাকেনি; আর বর্তমানে যদি আর্থিক অন্তঃপ্রবাহের জায়গায় বহিঃপ্রবাহ (দেশ থেকে টাকা বেরিয়ে যাওয়া) ঘটছে, তবে তার কারণ অন্য কোথাও নিহিত আছে (যেমন ট্রাম্পের শুল্ক নীতি), এবং কয়েকটি ব্যাঙ্ক বিক্রি করে সেই সমস্যা দূর করা যাবে না। তাহলে, কেন নীরবে ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি মালিকানা অনুমোদন করা হচ্ছে, যখন এর প্রভাব অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত (না হলে তো ১৫ শতাংশের সীমাটি প্রথম থেকেই আরোপ করা হতো না)?
অবশ্য একথাও বলা যেতে পারে যে ব্যাঙ্কগুলির উপরে বিদেশি মালিকানার কারণে দেশীয় অর্থনীতিতে যে ক্ষতিকর প্রভাব তাকে অতিরঞ্জিত করে করে দেখানো হয়েছে। ভারতীয় ব্যাঙ্কের উপর বৈদেশিক মালিকানার প্রসঙ্গে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম সাধারণভাবে মালিকানাকে সীমিত রাখে। যতক্ষণ ঐ নিয়মসমূহ মেনে চলা হচ্ছে ততক্ষণ ব্যাঙ্কের মালিক কে তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি এমন কথাকে যুক্তি হিসাবে মেনেও নেওয়া হয় তা হলেও কেন একটি ভারতীয় ব্যাঙ্ককে বিদেশি নিয়ন্ত্রণের অধীনস্ত করতে হবে তার কোনও উত্তর মেলে না। ‘বৈদেশিক মালিকানা ব্যাঙ্কের পরিচালনায় উন্নতি করবে’ বলে যুক্তি দেওয়া হয়, এও অকেজো কথা। ক্যাথলিক সিরিয়ান ব্যাঙ্কের উদাহরণ দেখায়, ক্ষুদ্র আকারের ঋণ গ্রহীতা যাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঋণ দিতে হয় এমন প্রকল্পের সুবিধাভোগী হওয়ার কথা ছিল বিদেশি নিয়ন্ত্রণ কায়েম হলে ব্যাঙ্ক একদিকে তাদের ঋণ দেওয়া একেবারে বন্ধ করে দেয় আরেকদিকে ম্যানেজমেন্টের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের বেতন অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়া, ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি মালিকানা ঠিক সেই হাতিয়ার হয়ে ওঠে যার মাধ্যমে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি সম্পদ ধারনের বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণের মাধ্যমে বিদেশি সম্পদ ধারণ বাড়লে, বিদেশি-মালিকানাধীন ব্যাঙ্কগুলি আর্থিক ফাটকা কারবারে (speculative activities) অর্থায়নে আরও বেশি জড়িয়ে পড়তে সক্ষম হবে।
এই ধরনের ফাটকা কারবার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেই কারণেই পূর্বানুমান সাপেক্ষে (ex ante) অর্থে গড়ে বেশি লাভজনক। যখন পরিস্থিতি অনুকূল থাকে এবং ফাটকাবাজি ভালো লাভ দেয়, তখন এই কার্যকলাপে যুক্ত ব্যাঙ্কগুলি উচ্চ মুনাফা অর্জন করে, কিন্তু সেই মুনাফা থেকে আমানতকারীরা (depositors) এক পয়সাও পান না। তবে যখন ফাটকাবাজি ব্যর্থ হয় এবং ব্যাঙ্কগুলি লোকসান করে, এমনকি দেউলিয়া হওয়ার মুখে পড়ে, তখন আমানতকারীদেরই তাদের সঞ্চয় হারানোর ঝুঁকি নিতে হয়। অতএব, সাধারণ আমানতকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে, ফাটকা কারবারে বিনিয়োগকারী একটি ব্যাঙ্ক ফাটকা-বহির্ভূত ঋণদানকারী ব্যাঙ্কের চেয়ে অনেক খারাপ; বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাঙ্কগুলি বিদেশি সম্পদের নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নিজেদের বিধিনিষেধ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে ভারতের আমানতকারীদের বিনিয়োগের ঝুঁকি বাড়ে। এমন বিনিয়োগে তাদের লাভের সুযোগ প্রায় কিছুই নেই কিন্তু ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভারতীয় আমানতকারীদের ফাটকাবাজির বিপদের মুখে ঠেলে দেবে, যেখানে তাদের পাওয়ার কিছুই নেই, হারানোর আছে সবকিছু।
এটি কেবলই অনুমান নয়। ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন ক্ষেত্রের ‘বুদবুদ’ ফেটে যাওয়ার সময় দুনিয়ার প্রধান পুঁজিবাদী দেশের ব্যাঙ্কগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঐ বুদবুদের জালে জড়িত ছিল বলে ধরা পড়ে। এরা বিপুল পরিমাণে ‘টক্সিক অ্যাসেটস’ অর্থাৎ মূল্যহীন সম্পদের বোঝা বহন করে। ঐ সমস্ত ব্যাঙ্ককেই বিরাট পরিমাণ সরকারি বেল-আউট দিয়ে উদ্ধার করতে হয়েছিল। কিন্তু এ ধরনের উদ্ধারও আমানতকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হয়েছিল। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে আবাসন বুদবুদ ব্যবস্থার পতনের পড়েও আর্থিক ব্যবস্থা অপরিবর্তিত ছিল। ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির ব্যালেন্স শিটে বিদেশি সম্পদের পরিমাণ ছিল অতি নগণ্য, সেই সামান্য পরিমাণে মূল্যহীন সম্পদ (টক্সিক অ্যাসেটস) ছিল আরও কম। কেবলমাত্র ICICI ব্যাঙ্কের তহবিলেই কিছু বিদেশি ও টক্সিক অ্যাসেটস ছিল, সরকারি ব্যাঙ্কগুলি প্রায় পরিচ্ছন্নই ছিল। ভবিষ্যতে এমন সহায়ক পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি নাও হতে পারে। দেশীয় ব্যাঙ্কগুলিতে বৈদেশিক মালিকানা অনুমোদিত হলে ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে দৃঢ়তা ছিল তা পরেরবার টিকে নাও থাকতে পারে।
তবে, বিদেশি মালিকানা অনুমোদনের দিকেই নয়া-উদারবাদ (neoliberalism) ভারতকে ঠেলে দেবে। কারণ নয়া-উদারবাদ সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধ (বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের সরকারগুলির বিধিনিষেধ), যেমন বিদেশি ইক্যুইটি মালিকানার ১৫ শতাংশ সীমা, ইত্যাদির বিরোধিতা করে। এর আরও একটি কারণ হলো, ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি মালিকানা সাম্রাজ্যবাদকে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণের বাড়তি সুবিধা দেয় এবং আমাদের মনে রাখতে হবে নয়া-উদারবাদ একটি সাম্রাজ্যবাদী কৌশল কারণ একটি বিদেশি ব্যাঙ্কের মালিক বিদেশি রাষ্ট্রের সমর্থন পাবে, যা ভারতীয় ব্যাঙ্কের মালিক পাবে না।
নয়া-উদারবাদ ইতিমধ্যে ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রে পরিচালনা/নিয়ন্ত্রণ নির্ভর নীতি (এতে অনেক অগ্রগতি থাকার পরেও) তাকে অনেকটাই উলটো দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। যদিও অগ্রাধিকার পায় এমনসব খাতের ঋণনীতি এখনো কার্যকর রয়েছে বাতিল হয়নি, তবুও ‘অগ্রাধিকারের’ সংজ্ঞা এতদূর প্রসারিত হয়েছে যে যাদের জন্য ঐ নীতি গৃহীত হয়েছিল অর্থাৎ চাষি, ক্ষুদ্র উৎপাদক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রান্তিক অংশ তারা ব্যাপকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন থেকে বাদ পড়েছেন। অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেন’স অ্যাসোসিয়েশন (AIDWA)-র এক গবেষণায় দেখা গেছে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা (NBFC) ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলি (MFI) ব্যাঙ্ক থেকে ১০ শতাংশের কম সুদে ঋণ পায় কিন্তু দরিদ্র মহিলা ঋণগ্রহীতাদের ২৬ শতাংশ সুদে টাকা ধার দেয়। অনেকটা ঔপনিবেশিক যুগে গ্রামের সেই মহাজনের মতো যিনি প্রায়ই সুদের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ পেতেন। যা আরও আশঙ্কার বিষয় তা হলো NBFC ও MFI-কে ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণও এখন অগ্রাধিকারের ঋণ হিসাবে গণ্য হয়। ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প ও ছোট ব্যবসার মতো ক্ষেত্রগুলিতে সকল মধ্যস্থতাকারীকে বাদ দিয়ে প্রান্তিক ঋণগ্রহীতাদের সরাসরি ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া, সে লক্ষ্য আজকের অবস্থায় ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
বড় কর্পোরেট ব্যবসার অধীনস্ত হয়ে পড়েছে, যদিও ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের পিছনের ধারণা ছিল এই যোগসূত্র ছিন্ন করা এবং ঋণ বিতরণের ওপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। বৃহৎ ব্যবসা শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক ঋণের বেশিরভাগ অংশই কুক্ষিগত করে না, বরং তাদের পরিশোধের বাধ্যবাধকতাও শাস্তি ছাড়াই (with impunity) লঙ্ঘন করে। এখানেও, অন্যভাবে বলা যায়, সরকারি খাতের ব্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও (যদিও আজকাল এগুলিতে সরকারের ইক্যুইটির অংশ কমছে), এমন একটি পরিস্থিতি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যা পুরানো দিনের মতো, যখন একচেটিয়া ব্যবসা গোষ্ঠীগুলির ব্যাঙ্কগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল (আসলে প্রতিটি গোষ্ঠীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক ছিল)। এটি আবার ঋণ বিতরণের ওপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ধারণা থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতা।
ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি মালিকানা এই প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। প্রান্তিক ঋণগ্রহীতারা সরাসরি ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধা থেকে আরও বঞ্চিত হবেন; বৃহৎ ব্যবসাকে ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়ে আরও পুষ্ট করা হবে; এবং এখন এর সব কিছুর উপরে ব্যাঙ্ক ঋণ বিদেশি সম্পদ এবং ফাটকা কারবারের (speculative activities) দিকে প্রবাহিত হবে। বর্তমানে দেশের শাসন পরিচালনায় থাকা ফ্যাসিবাদী (fascistic) উপাদানগুলির কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না, কিন্তু এটিকে অবশ্যই জোরালোভাবে প্রতিহত করা দরকার।
Comments :0