প্রিতম ঘোষ: তুফানগঞ্জ

সমাবেশের মাধ্যমে শুরু ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। তুফানগঞ্জে সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। সমাবেশের সভাপতিত্ব করছে কোচবিহারের সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক অনন্ত রায়। 
সমাবেশে অনন্ত রায় বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার একের এক সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করছে। রাজ্যে চাকরি নেই। কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না। তৃণমূলের আমলে কোন শিল্প হয়নি। চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। ২৬ হাজার মানুষের চাকরি গিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা নিয়েছে এবার আবার দুর্নীতি করেছে। আমাদের জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল, কলেজ গুলোর অবস্থা খারাপ। অনেক জায়গায় কোন স্থায়ী অধ্যাপক নেই। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল, বিজেপি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ১৯ দিন ধরে আমরা বিভিন্ন জেলায় যাবো। জেলায় জেলায় মিছিল হবে। মানুষের কথা তুলে ধরা হবে। ২০২৬ এর নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপি দুজনেই পরাজিত করতে হবে। বৃহত্বর বাম গনতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে এই দুই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে।’’
এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন রাজবংশীদের জন্য প্রাইমারি স্কুল হবে, আদিবাসীদের জন্য স্কুল হবে। দীনহাটায় কলেজ হবে। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে, কিন্তু একটাও হবে না। আজ তৃণমূল বিজেপি মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে ভাগ করছে মানুষের নামে, আমাদের এই বিভাজনকে আটকাতে হবে। সামনে নির্বাচন তাই বলছে বুথ পিছু ১০ লক্ষ টাকা খরচ করবে সরকার,কি করেছে এখানে? ১০ টাকাও খরচ করতে দেখা যায়নি। প্রতিবার উত্তরবঙ্গের মানুষকে বিভিন্ন টোপ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার আর উত্তরবঙ্গের মানুষ তৃণমূল বিজেপির সেই টোপ খাবে না। এই বাংলাকে আমাদের বাঁচাতে হবে। বাংলাকে রক্ষা করতে হবে।’’

সিপিআই(এম)’র প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্তের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শুরু হয় সমাবেশ। শ্রদ্ধা জানান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য কমিটির সদস্য অলকেশ দাস সহ নেতৃবৃন্দ।