ssc scam

চাকরিহারাদের হেনস্তা, নিন্দায় সরব সব মহল

কলকাতা

বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভের ওপর শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আক্রমণ ও পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠন। এবিটিএ এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার জানানোর ডাক নিয়েছে। 
এবিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন এদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এদিনের ঘটনা অতীতের সমস্ত ঘটনার যুক্তিসঙ্গত উত্তরপর্ব। বিক্ষোভকারীদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। এবিটিএ তাঁদের আন্দোলনের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করছে ও তাঁদের আইনসঙ্গত আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে। বিগত দিনের উপেক্ষা ও অবহেলা এবং অদূর ভবিষ্যতের নৈরাশ্য ও অসহায়তার আশঙ্কা তাঁদের ধৈর্যের বন্ধন শিথিল করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উচিত ছিল তাঁদের সঙ্গে দেখা করা, তাঁদের সমস্যা শোনা, তাঁদের বক্তব্য সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা; তার পরিবর্তে প্রশাসন তাঁদের উপেক্ষা করলেন ও পুলিশের সাহায্যে তাঁদের নিগ্রহ করলেন। এবিটিএ এই অমানবিক আচরণ ও নিগ্রহের তীব্র নিন্দা করছে। 
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষকদের ওপরে লাঠি চালানো ঘটনা নিন্দাজনক। দোষীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জ্যোৎস্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিকাশ ভবনের সামনে যোগ্য শিক্ষকদের উপর যে নারকীয় আক্রমণ নামিয়ে এনেছে এ রাজ্যের পুলিশ, তার নিন্দা জানানোর কোনও ভাষা নেই। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই! এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আগামীকাল এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাস্তায় নামবে।
প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি  শুভঙ্কর সরকার এদিন বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর যেভাবে আক্ষরিক অর্থে জুতোপেটা করা হলো এবং লাঠি চালানো হলো তা সরকারের বর্বরদশাকেই প্রকট করে তোলে। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই তৃণমূল  সরকারের অপদার্থ শিক্ষা মন্ত্রীকে অবিলম্বে  বরখাস্ত করার  দাবি করছি। 
এই তৃণমূল সরকারের আমলেই চাকরি বিক্রি হয়েছে, তাই সব দায় এই সরকারের। 
সিপিআই(এম এল) লিবারেশন নেতা পার্থ ঘোষ এদিন এই নৃশংস পুলিশি অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে অচলাবস্থা, অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে বিকাশ ভবনে অবস্থানরত শিক্ষকরা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক। আর রাত নামতেই ‘মানবিক’ মুখ্যমন্ত্রী পাঠালেন শয়ে, শয়ে পুলিশ। সাইরেন বাজিয়ে নামল র্যা ফ। রাতের অন্ধকারে আন্দোলনরত শিক্ষক, শিক্ষিকাদের উপর বেধড়ক লাঠি চার্জ করল পুলিশ। কারো ঝরল রক্ত,কেউ লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। শিক্ষকদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হলো। হাত,পা , শরীর রক্তাক্ত। যে শিক্ষকদের কাজ বিদ্যালয়ে, বিদ্যালয়ে পড়ানো,আজ তাঁরা রক্তাক্ত বিনা অপরাধে। রাজ্যের ইতিহাসে এ এক অন্ধকারময় দিন।
আরসিপিআই নেতা মিহির বাইন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।

Comments :0

Login to leave a comment