Road Accident In Nadia

নদিয়াতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, মৃত পাঁচ, আশঙ্কাজনক ১

রাজ্য জেলা

মঙ্গলবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ করিমপুর থানার কাঁথিলা মঠ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী মারুতি গাড়িকে পিষে দেয় কলকাতাগামী একটি বেসরকারি বাস।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, যাত্রীবাহী বাসটি কৃষ্ণনগরের দিকে আসা মারুতি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

মারুতিতে অন্তত ছ’জন যাত্রী ছিলেন। হঠাৎই দ্রুতগতিতে আসা বাসটি মারুতিকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারের একটি বড় গাছে ঠেলে দেয়। ধাক্কা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে মারুতি গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়, এবং ভিতরে থাকা যাত্রীরা গাড়ির ভেতরে আটকে পড়েন।

স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু গাড়ির ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের কাউকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি। এরপর করিমপুর থানায় খবর দেওয়া হলে, বিশাল পুলিশবাহিনী এবং দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ।

মারুতি ভ্যানের তিনজন মহিলাও ছিলেন। দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন একজন। তাঁকে তেহট্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। পুলিশ জানিয়েছে 

নিহতদের নাম সঞ্জয় সরকার, তিনি স্কুল শিক্ষক। তাঁর মা অনিমা সরকার। তাঁরা করিমপুরের গোয়াসের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মারুতি ভ্যান চালক সুমন শেখ।  এছাড়াও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মমতা সরকার এবং সুলেখা। দুজনেই মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার রাণীনগরের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় বাসের যাত্রীরাও কমবেশি জখম হয়েছেন। তাদের করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, দুটি গাড়ির সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে, বাস ও গাছের মাঝে মারুতি গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ির ভিতরে থাকা ছয়জন যাত্রীর কেউই বের হতে পারেননি। খবর পেয়ে করিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আসে দমকল। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বাসটিকে সরিয়ে মারুতির ভিতর থেকে দেহগুলি বার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাসের চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দুটো গাড়ির সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment