বুথের মধ্য 'বাংলা বাঁচাও' শ্লোগান দিয়েই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৮টি পদযাত্রা হয়। একাধিক স্থানে রুটি রুজির সংকটের জন্য দায়ী দুই শাসক দল তৃনমুল ও বিজেপির জনবিরোধি নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে। জেলার ৭১ টি বুথের মধ্য দিয়ে ৬৮ কিমি পথ জুড়ে কেন্দ্রীয় দাবীর সঙ্গে স্থানীয় দাবীর সমাধানের লড়াই আন্দোলনের বার্তা নিয়ে লাল ঝান্ডার মিছিল সাড়া ফেলে।
দাবী ওঠে বন্যা নিয়ন্ত্রনে ঘাটাল মহকুমার ভেঙে পড়া ২৮টি নদী বাঁধ মেরামত দ্রুততার সাথে করতে হবে এবং ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ডিপিআর প্রকাশ করে প্রকল্প রূপায়ন করতে হবে।
বন্ধ করে রাখা একশ দিনের কাজ কোর্টের তরফে চালুর নির্দেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত কেনো চালু করা হচ্ছেনা তার জবাব চাওয়া হয়। পাশাপাশি স্লোগান ওঠে একশ দিনের কাজ চালু করো নতুবা ভাতা দাও।
জেলার পিংলা ব্লকের কুসুমদা, ঘাটাল ব্লকের মনসুকা, দেওয়ানচক ১, অজবনগর, দাসপুরে ব্লকের নাড়াজোল, শালবনী সহ হরিশকুণ্ডু চৌকান, বনহরিসিংহপুর,পান্না এমন আটটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় পদযাত্রা সংগঠিত হয় রবিবার।
পদযাত্রা থেকে রুটি রুজির সংকট অপরদিকে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, সীমাহীন দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, কৃষকের ধান বিক্রয়ে ন্যায্য মূল্য না পাওয়া ঘটনায় বর্তমানে হতশ্রী বাংলাকে পুনরায় রূপশ্রী বাংলায় ফিরিয়ে আনার শপথে এবং এমন সংকটকে আড়াল করতে এসআইআর-র আতঙ্ক তুলে দুই শাসকদল তৃণমূল ও বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে রুখে দেওয়া ও ভাতের লড়াইতে সামিল হলেন শতশত গ্রামের মানুষ, আদিবাসী জনজাতির মানুষ সহ মহিলারা।
শ্লোগান ওঠে ‘রুখে দাও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষার দালাল ও মেরুকরন রাজনীতির দুই দক্ষিনপন্থী শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির বিভেদের রাজনীতি, সামিল হও কাজের অধিকার আদায় ও বাংলা বাঁচাও লড়াই আন্দোলন সহ ন্যায্য মজুরি, উচ্ছেদ হওয়া পাট্টাদার বর্গাদারদের জমি উদ্ধার সংগ্রামে। শ্লোগান ওঠে ’হয় কাজ দাও নইলে সমহারে ভাতা দাও'। হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট কাজ চালুর রায় দিলেও এখনও পর্যন্ত সেই কাজ না চালু হওয়ার ঘটনায় রাজ্যে তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের চেহেরায় মিছিল এগিয়ে চলে। তৃণমূল ও বিজেপি দুই সরকারই গরীব মানুষকে ভাতে মারার চক্রান্ত করেছে সেটিং এর রাজনীতিতে তা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পদযাত্রায় দাবী ওঠে ৬০ বছর বয়স হলেই প্রত্যেক শ্রমজীবী মানুষের জন্য মাসে ৩০০০ টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত গৃহহীন গবীর মানুষের মাথার উপর ছাদ সহকারে গৃহের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্লোগান ওঠে জাত নয় ভাত চাই-ধর্ম নয় কর্ম চাই। নারী পুরুষ সমকাজে সম মজুরী দিতে হবে এবং ৭০০ টাকা মজুরী আইনি ভাবে ঘোষনা করতে হবে। কর্পোরেট ও এনজিওর হাতে সরকারী জমি ও বনভূমি তুলে দেওয়ার চলবে না। গরীব মানুষের পাট্টার ব্যবস্থা ও বনাঞ্চলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কৃষিতে ভূর্তকী বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের লাভ জনক দর দিতে হবে। বাড়তি বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করতে হবে।
Comments :0