প্রবন্ধ
মুক্তধারা
ভারতের গৌরব মেঘনাদ সাহা
আকাশ বিশ্বাস
১৬ অক্টোবর ২০২৫, বর্ষ ৩
প্রখ্যাত জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর তৎকালীন ঢাকা জেলার গাজীপুরের শেওরাতলী গ্রামে। তাঁর পিতার নাম জগন্নাথ সাহা এবং তাঁর মাতার নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। তাঁর পিতা ছিলেন একজন দরিদ্র মুদি দোকানদার। মেঘনাদ সাহার শিক্ষা শুরু হয় গ্ৰামের টোলেতে। তাঁকে খুব কষ্ট সাথে তাঁর পড়াশোনা চালাতে হয় কারণ ছোটোবেলা থেকেই তাদের ছিল অর্থাভাব। ধীরে ধীরে সে তাঁর গ্ৰামের পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানে সে তাঁর পড়াশোনা চালায় এবং সেখানে তিনি গনিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।এরপর আরও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য তিনি বিলেত যাত্রা করেন এবং সেখানেই তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে ১৯২০ সালে সাহা আয়নীকরণ সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করেন যা নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌতধর্ম ব্যাখ্যা করতে অপরিহার্য। তাঁর এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অফ সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯১৯ সালে হার্ভার্ড ক্লসিফিকেশন অফ স্টেলার স্পেকট্রা বৃত্তি লাভ করেন।১৯২৭ সালে ৩৪ বছর বয়সে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন।১৯১৮ সালে তিনি রাজধানী সাহার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।রাধারানী ছিলেন বিক্রমপুরের বাসিন্দা।তাদের তিন পুত্র এবং চার কন্যা ছিল।এদের মধ্যে বড় সন্তান অজিত কুমার সাহা ছিল একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী।তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি তাঁর শেষ জীবনে মানুষের মনে বিজ্ঞান চেতনা জাগাতে চেষ্টা চালিয়ে যান এবং ১৯৩২ সাল থেকে তিনি বাংলার নদী সংস্কার নিয়ে গবেষণা করেন এবং আন্দোলন ও শুরু করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু হয় ১৯৩৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি।
এই মহান দেশপ্রেমিক এবং বিজ্ঞানী জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম।
নবম শ্রেণী
কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা
কল্যাণ নগর, খড়দহ
Comments :0