উৎসবে অনুভবে
মণ্ডা মিঠাই
দুর্গোৎসবের আড়ালে শিল্পীর সাধনা ও অর্থনীতির আলো
অরিজিৎ মিত্র
নতুনপাতা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩
২
দুর্গোৎসবের অর্থনৈতিক দিক
শিল্পীর জীবিকা
দুর্গোৎসব শিল্পীদের জন্য শুধু সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্র নয়, এটি তাঁদের জীবিকার বড় উৎসও। প্রতিমা গড়ে তাঁরা রোজগার পান, মণ্ডপসজ্জা করে আয় করেন। এই উপার্জন তাঁদের সারা বছরের সংসার চালাতে সাহায্য করে। অনেক ছোট শিল্পীর একমাত্র ভরসাই হলো এই উৎসবের কাজ।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার
দুর্গাপূজার দিনগুলো হলো বাঙালির কেনাকাটার দিন। জামাকাপড়ের দোকানে ভিড়, গয়নার দোকানে ব্যস্ততা, বইপত্র, খেলনা, উপহার—সবকিছুর বিক্রি হয় ব্যাপক হারে। রাস্তার পাশের ফুচকা, চাট, রোল কিংবা মিষ্টির দোকানও জমে ওঠে এই সময়। ছোট দোকানদার থেকে বড় ব্যবসায়ী—সবার জন্যই পূজো মানে আয়ের বিশেষ সময়।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
দুর্গাপূজার কারণে সাময়িকভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়। লাইটিং, সাউন্ড সিস্টেম, নিরাপত্তা, পরিবহন—অসংখ্য ক্ষেত্রে মানুষ কাজের সুযোগ পান। এতে অস্থায়ীভাবে হলেও অনেক পরিবার উপার্জনের আলো দেখে।
অর্থনীতির চালিকাশক্তি
সব মিলিয়ে দুর্গোৎসব আমাদের অর্থনীতির এক বড় চালিকাশক্তি। এটি শুধু ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসব নয়, এটি আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক স্রোত সৃষ্টি করে। বলা যায়, পূজো মানেই শিল্পীর জীবিকা, দোকানদারের ব্যবসা, শ্রমজীবীর উপার্জন আর সমগ্র অর্থনীতির গতি।
দুর্গোৎসব একদিকে যেমন দেবী দুর্গার বন্দনা, তেমনই এটি শিল্পীর কল্পনাশক্তি ও শ্রমের প্রতিচ্ছবি। আবার এই উৎসব অসংখ্য মানুষের জীবনে আনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের জন্য আয়ের নতুন দিগন্ত খোলে। তাই দুর্গোৎসব কেবল আনন্দ-উল্লাস নয়, এটি হলো সৃষ্টিশীলতা, শ্রম ও অর্থনীতির এক মহোৎসব। দেবী দুর্গার আরাধনা যেমন আমাদের মনে শক্তি জাগায়, তেমনি শিল্পীর সাধনা ও দোকানদারের হাসি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—দুর্গোৎসব আসলে বাঙালির জীবনের এক মহাযজ্ঞ, যেখানে সবাই মিলে গড়ে তোলে আনন্দ আর জীবিকার এক অসাধারণ মেলবন্ধন।
সমাপ্ত
নতুন বন্ধু , নবম শ্রেণী কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা কল্যাণ নগর খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা
Comments :0