বিএসএফ জওয়ান পূর্নম কুমার সাউ পাকিস্তান রেঞ্জার্স এর হাতে বন্দি ১৫ দিন ধরে। পাল্টা এক পাক রেঞ্জার্সকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ।
পূর্ণমের মুক্তির ব্যাপারে আশার আলো দেখছিল পরিবার। কিন্তু গতকাল রাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির গুলোতে অপারেশন চালানোয় অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবে গেছে বিএসএফ জওয়ানের পরিবার। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর চিন্তায় দু চোখে জল নিয়ে বলছেন, এখন আর আশা দেখছি না। যুদ্ধ বেধে গেছে। এখন পাকিস্তান আর হয়ত ছাড়বে না।
রজনী নিজে গিয়ে বিএসএফ হেড কোয়ার্টারে সিও-র সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। তারপর আট দিন কেটে গেছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উৎকন্ঠা বাড়ছে। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী শাহ বলেন, ‘দুদিন আগেই খবর পেয়েছিলাম পাক রেঞ্জার্স ধরা পড়েছে ভারতের হাতে। সেই সময় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলাম। স্বামী ফিরে আসার ব্যাপারে কালকে ভারত জঙ্গি ঘাঁটিতে যেভাবে হানা চালিয়েছে বা যা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে আমাদের আরও ভয় বাড়ছে। এই অবস্থা তো চলতেই থাকবে। সিও স্যারকে ফোন করেছিলাম, ফোন করা ছাড়া আর কোন কিছুই করতে পারবো না। স্বামীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। কতটা সুযোগ আছে ফিরিয়ে আনা সেটাও বুঝতে পারছি না। যুদ্ধ হলে সকলের ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আমি ভেবেছিলাম যুদ্ধের আগে হয়তো ওনাকে ফিরিয়ে আনা হবে। হঠাৎ এই পরিস্থিতিতে কি হবে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন হয়ে গেল বিএসএফ তরফে কোনরকম ফোন আসেনি আমার কাছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তাতে প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার ছিল ঠিকই। সেটা আমিও চাই। আমার চিন্তার কারণ একটিই, আমার স্বামী পাকিস্তানে আটকে আছে। আমি চাইছি আমার স্বামী যে কোন উপায়ে ফিরে আসুক বাড়িতে। এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এতো তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে না। পাকিস্তানও চুপ করে থাকবে না ওরাও হয়তো হামলা চালাবে।’
Comments :0