ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্ত সিকিম। উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলাকে বিপর্যস্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করলো সিকিম সরকার। মঙ্গলবার পর্যটকদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সিকিম পর্যটক দপ্তর। বলা হয়েছে, ধসের কারণে উত্তর সিকিমে বিশেষ করে লাচেন ও লাচুংয়ে রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখানে যেতে পারবেন না পর্যটকরা। তবে সিকিমের অন্য অংশে পর্যটকদের যেতে কোনও অসুবিধা নেই। বিবৃতি অনুসারে, ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলের বেশকিছু পর্যটক আটকা পড়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে লাচেন এবং লাচুং-এ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হলেও, সিকিমের অন্যান্য সমস্ত অংশ ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত এবং নিরাপদ রয়েছে। পর্যটকদের ট্যুর প্লান সেই কথা মাথায় রেখে করার কথা বলা হয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। আধিকারিকরা আরও বলেন, পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সিকিমে থাকা পর্যটকদের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং তাদের ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতু বিপর্যয় ঘটেছে। তিস্তা নদীতে জলস্ফীতির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে। আরও খরস্রোতা হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে উত্তর সিকিমে লাচেন। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার কাজ চলছে। তবে এখনও বহু পর্যটক আটকে রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তার জলচ্ছ্বাস বাড়ছে। ফিডাং থেকে শুরু করে সাংকালান একাধিক সেতু বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু সেতুর সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও একাংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। উত্তর সিকিম জুড়ে ধস বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লাচেনে ক্ষতির পরিমান বেশী। চুংথাং থেকে মুনসিথাং ও ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই সব এলাকায় রাস্তাঘাট উধাও হয়ে গেছে। উত্তর সিকিম থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লাচেন। লাচেনে এখনও আটকে রয়েছে শতাধিক পর্যটক। পাশাপাশি উত্তর সিকিমের ছাতেনে সেনা ক্যাম্পে ধস নামার কারনে তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ছয় জন জওয়ান এখনও নিখোঁজ রয়েছে। বেশ কয়েকজন পর্যটককে এদিন উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে গ্যাঙটকের পাকিয়ং এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এখনও ছাতেনে প্রায় ৪০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন।
Comments :0