শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড চালু করার প্রতিবাদে সিআইটিইউ বীরভূম জেলা কমিটির আহ্বানে রবিবার বিকেলে সিউড়ি ও রামপুরহাটে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সভা হয়।এদিন বিকেলে সিউড়ি রেডক্রশে জমায়েত হন এলাকার শ্রমিকরা। সেখান থেকে মিছিল পরিক্রমা করে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে, জেলখানা ও জেলা প্রশাসন ভবন অতিক্রম করে সিউড়ি হেড পোষ্ট অফিস মোড়ে বিক্ষোভ সভা হয়। সিআইটিইউ বীরভূম জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী, বলরাম চ্যাটার্জি প্রমূখ।
শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড চালু করার প্রতিবাদে রামপুরহাটে মিছিল ও বিক্ষোভ সভা হয়। মিছিল লোটাস প্রেস মোড় থেকে শুরু হয়ে বগুটুই মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে রামপুরহাট বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নেতা অমিতাভ সিং, নয়নাভ অধিকারী, আলি আহমেদ, ভোলানাথ দে। সভাপতিত্ব করেন খুরশেদ আলম।
শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে সি আই টি ইউ অনুমোদিত পুরুলিয়া জেলা বিড়ি কারিগর ইউনিয়নের মিছিল পুরুলিয়া কোটশিলাতে। মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ এর জেলা সম্পাদক হারাধন ব্যানার্জি সহ ভীম কুমার, পরেশ মাহাতো, সহরই কুমার প্রমুখ নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় সরকারের চাপিয়ে দেওয়া শ্রমকোডের বিরুদ্ধে শনিবার কালনা শহরে তীব্র প্রতিবাদ জানায় শ্রমজীবী মানুষ। সিআইটিইউ কালনা শহর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে এদিন শ্রমজীবী মানুষরা জমায়েত হন কালনা রাজবাড়ীতে। সেখান থেকে মিছিল শুরু হয়ে সারা কালনা শহর পরিক্রমা শেষে স্টেডিয়ামের সামনে এসে হাজির হয়। সেখানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন-- শ্রমিক নেতা কেশবচন্দ্র ঘোষ, সঞ্জিত মুখার্জি, অরুণাভ চক্রবর্তী প্রমূখ।
'কালা শ্রম কোড বাতিল করো' এই দাবীতে রবিবার সোচ্চার হয়েছে বর্ধমানের শ্রমজীবী মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারের লাগু করা শ্রমিক বিরোধী নয়া শ্রম কোডের বিরুদ্ধে এদিন বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্বরে বিক্ষোভ সভা এবং প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিল শেষে কার্জনগেটে
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি এবং শ্রমিক বিরোধী কালা শ্রম কোড পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান বর্ধমান শহরের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। এই বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন সি আই টি ইউ’র নেতা কাজল রায়। বক্তব্য রাখেন বর্তমান শহরের শ্রমিক নেতা নাসিম আহম্মেদ, প্রলয় আইচ, দেবদুলাল ঠাকুর এবং দীপঙ্কর দে।
Comments :0