আসামীকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে তৃনমূল। ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র শিতলকুচি। তৃনমূল কর্মীদের রোষের শিকার হলেন কর্তব্যরত পুলিশ! অভিযুক্ত আসামীর নাম সুশান্ত বর্মন।
শিতলকুচির কার্যীর দিঘি বাজার এলাকায় ঘটেছে ঘটনাটি। নিজের স্ত্রীকে নির্যাতন করে তাঁর অশ্লীল ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সুশান্ত বর্মন। কিন্তু অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তুলেও থানায় নিয়ে আসতে পারলো না। তার আগেই তৃনমূল কর্মীরা এসে পুলিশ ভ্যান ঘেরাও করে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে শিতলকুচি থানা থেকে ওসি এন্থনি হোড়ো বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তৃনমুল কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে আসামী উদ্ধারের চেষ্টা করলেও আসামীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে তাঁরা। পরে পুলিশ আসামী ছিনতাইয়ে জড়িত সুবোধ বর্মন ও কেকা বর্মনকে আটক করে শিতলকুচি থানায় নিয়ে যায়।
এদিন কার্যীর দিঘি বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল অভিযুক্ত সুশান্ত বর্মন। ওই দোকান থেকে বেলা আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তোলে। তৃনমুলের সভা চলছিল দিঘি বাজার থেকে ২০০ মিটার দূরে। সভাস্থলে খবর আসে তাদের এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। সভাস্থল থেকে শয়ে শয়ে তৃনমুল কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ঘেরাও করে ফেলে। মুহুর্তের মধ্যে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে গাড়ির দরজা খুলে অভিযুক্তকে নিয়ে পালায় একদল তৃনমুল কর্মী। পরে পুলিশ গোটা এলাকায় অভিযান চালিয়েও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিসের হাত থেকে আসামী ছিনতাইয়ের এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, "পুলিসের ভ্যান থেকে অভিযুক্ত আসামীকে তৃনমুল কর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এর চাইতে ভয়ংকর ঘটনা আর কি হতে পারে? অথচ তৃনমুলের মিটিং থেকে যারা এসে আসামীকে কেড়ে নিল তারা দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের সভা শুনতে এসেছিল। দলের নেতারাও হাত গুটিয়ে সব দেখলেন। এর চাইতে লজ্জ্বার ঘটনা আর কি হতে পারে। গোটা জেলাজুড়ে এখন আইনের শাসন নয়, তৃনমুলের শাসন চলছে।"
Comments :0