jalpaijuri

প্রধান শিক্ষিকাকে কান ধরে উঠবস, ধর্মঘটের ডাক শিক্ষা বাঁচাও মঞ্চের

জেলা

শহর জলপাইগুড়ি দীর্ঘদিন ধরেই সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেই ঐতিহ্যে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জি। তাঁর অনৈতিক কাজকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। জলপাইগুড়ি হোলি চাইল্ড স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও গোয়েঙ্কা কলেজ থেকে রাষ্ট্রিকেট হওয়া এই তৃণমূল নেতা ভোট লুঠ, তোলাবাজি ও আত্মহত্যার প্ররোচনাসহ একাধিক অভিযোগে জড়িয়েছিলেন। এবাব প্রাচীন সুনিতি বালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে তাঁর চেম্বারে কান ধরে উঠবস করানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে জলপাইগুড়ির শিক্ষা ও রাজনৈতিক মহল। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক সমাজ থেকে শিক্ষা মহল পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি শিক্ষা বাঁচাও মঞ্চ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় কদমতলায় বিক্ষোভ সভা এবং ১৪ নভেম্বর দুপুরে মাদ্রাসা ময়দান থেকে মিছিল করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) ও জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সাংবাদিক বৈঠকে যুগ্ম আহ্বায়ক মৌসুমী বোস জানান, এই অপমানজনক ঘটনার মাধ্যমে শুধু এক শিক্ষিকা নয়, গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. পান্থ দাশগুপ্ত, অধ্যাপিকা ড. কোয়েলা গাঙ্গুলী, শিক্ষক অমল গোস্বামী, রিতা রায় সেনগুপ্ত, নীতা আইচ, যুবনেত্রী পূর্ণা দত্ত প্রমুখ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা জানান, ঘটনাটি চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির হলেও তাঁদের কেউ জানায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেখে তাঁরা প্রথমবার জানতে পারেন। তাঁদের দাবি, বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনই এখন একমাত্র প্রয়োজন। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। ঘটনা প্রসঙ্গে পিআই(এম) জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র বলেন,‘‘যিনি ভোট লুঠ, তোলাবাজি ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত, তাঁকেই যদি পৌরপতি পদে বসানো হয়, তবে তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক।’’ এই ব্যক্তিকে জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান করার সিদ্ধ্যান্ততে প্রশ্ন তুলেছেন জলপাইগুড়ির মানুষ।

Comments :0

Login to leave a comment