SC Sonali Khatun

মানবিকতার খাতিরে বাংলাদেশ থেকে ফেরানো উচিত সোনালিকে, বলল সুপ্রিম কোর্ট

জাতীয় রাজ্য

অন্তত মানবিকতার জন্যই সোনালি খাতুন এবং তাঁর আট বছরের সন্তানকে ফিরিয়ে আনা উচিত দেশের সরকারের। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা দিল্লিতে রোজগারের জন্য ঠাঁই নেওয়া এই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের মামালায় এই মত জানালো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এদিন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলে যে এই মহিলা সন্তান ধারণ করেছেন। আসন্ন প্রসবা এই মহিলাকে ফিরিয়ে আনা উচিত অন্তত মানবিকতার জন্যই।
তুষার মেহতা বলেন যে সরকার চিন্তিত এই ভেবে যে ফিরিয়ে আনলে যে উদাহরণ তৈরি হবে তার পরিণাম কী। প্রধান বিচারপতি বলেন, সেজন্যই নথিভুক্তির আগেই এই মহিলাকে ফিরিয়ে আনা উচিত। 
সোনালি খাতুনের বাবা ভোদু শেখ মামলা দায়ের করেন প্রথম কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট গত সেপ্টেম্বরে এই পরিবারকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রের সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে।
গত জুলাইয়ে দিল্লিতে কর্মরত বাংলাভাষী সংখ্যালঘু এই পরিবারকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘বাংলাদেশী চিহ্নিতকরণ’ নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথমে আটক করা হয়। তারপর জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।
হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে বলে যে কারও নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং তার নিরসন করার নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। বিচারবিভাগে আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি নির্দিষ্ট হওয়ার কথা আইনমাফিক। এক্ষেত্রে আইনি পদ্ধতি মানা হয়নি। দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে যে এই পরিবার স্বীকার করেছে যে বাংলাদেশের নাগরিক। হাইকোর্ট বলে যে চাপের মুখে এমন স্বীকারোক্তি অনেক সময় করিয়ে নেওয়া হয়, ফলে সেটি আইনি প্রমাণ হিসেবে বিবেচ্য নয়।  
বীরভূমের সোনালি খাতুনের পরিবার রাজ্যে কাজ না পেয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন কাজে। তাঁর বাবা ভোদু শেখ হাইকোর্টে নতি পেশ করে দেখান যে তাঁরা স্থায়ী বাসিন্দা পশ্চিমবঙ্গের। সব নথি রয়েছে। আসন্নপ্রসবা সোনালির পাশাপাশি তাঁর স্বামী এবং আট বছরের সন্তানকে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।

Comments :0

Login to leave a comment