Memari Mysterious Death

দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য মেমারিতে

জেলা

মেমারিতে জোড়া খুন। সাতসকালে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় রক্তাক্ত স্বামী ও স্ত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। স্নিফার ডগ নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা কাজিপাড়ার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। মৃতদের নাম মুস্তাফিজুর রহমান(৬৬) ও মমতাজ পারভিন(৫৬)। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ পারভিন তাঁদের ছেলে আশিফকে নিয়ে থাকতেন। বুধবার সকালে স্থানীয়রা রাস্তা দিয়ে যাবার সময় দেখতে পান গলায় নলি কাটা অবস্থায় রাস্তায় স্বামী ও স্ত্রীর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বাড়ি ও ঘটনাস্থল পুলিশ কর্ডন করে রেখেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর ঘটনা পর থেকে বেপাত্তা ছেলে। বি টেক পাস দিল্লিতে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন ছেলে। মাসতিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে যান ছেলে। মাস দুয়েক আগে তাঁকে খুঁজে আনা হয়। তারপর থেকে মা-বাবার সঙ্গেই মেমারির বাড়িতে থাকতেন ছেলে। বুধবার সকালে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর দম্পতির রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহের তীর ছেলের দিকে। এদিন ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জী ও জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘরের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে দেহ দুটি টানতে টানতে বাড়ির বাইরে রাস্তায় নিয়ে আসে আততায়ী। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির সামনে দম্পতির দেহ উদ্ধার হলেও ঘরের কোনও জিনিসপত্র খোয়া যায়নি। শুধু সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক নেই পাওয়া যায়নি। নিহত দম্পতির ছেলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনোয়ার হোসেন নামে এক প্রতিবেশী বলেন, স্বামী-স্ত্রীর দেহের কাছেই তাঁদের মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। আমরা ছেলের খোঁজ করি। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। বাবা-মাকে খুন করে ছেলে পলাতক এমনই অনুমান পুলিশের। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দম্পতির ছেলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন বিকালে ঘটনাস্থলে আসে ৪ সদস্যের ফরেন্সিকের বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল ও বাড়ির বিভিন্ন যায়গা থেকে তারা নমুনা সংগ্রহ করেন। খুনের ঘটনার সঙ্গে ছেলে জড়িত কিনা তা জানতে তদন্তে মেমারি থানার পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment