Parliament

এসআইআর নিয়ে বিরোধী বৈঠকে নেই তৃণমূল, শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে সংসদে বিক্ষোভ

জাতীয়

সংসদের শীতকালিন অধিবেশন চলছে। চাপের মুখে সরকার রাজি হয়েছে এসআইআর নিয়ে আলোচনা করার। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বৈঠকে বসেছিল বিরোধী দল গুলো। স্বাভাবিক ভাবেই সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকেনি তৃণমূলের কোন প্রতিনিধি। ১ ডিসেম্বরের বৈঠকেও কোন প্রতিনিধি ছিল না তাদের। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি এসআইআর নিয়ে প্রতিদিন প্রায় গলা ফাটাচ্ছেন কিন্তু বিরোধীরা যখন এই নিয়ে সংসদে সরকারকে চাপে রাখতে বৈঠকে বসছে তাতে থাকছে না তৃণমূল। উল্লেখ্য এই প্রথম নয় প্রতিবারই বিরোধীদের বৈঠকে থাকে না তৃণমূল। বিজেপির কোন সমস্যা এমন কোন কাজ তারা করে না। একাধিক বার ওয়াক আউট করে বিজেপি সুবিধাও করে দিয়েছে তারা অনেক বিল পাশ করাতে।
এদিন বিরোধীদের বৈঠকে ছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে। ছিলেন সিপিআই(এম), সিপিআই, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, শিব সেনা উদ্ধব থ্যাকারে, শরদ পাওয়ার এনসিপির প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর এদিন বৈঠকে মূল এসআইআর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে তারা কী ভাবে এই বিষয় সংসদের অভ্যন্তরে সরকারের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করবে। এছাড়া শীতকালিন অধিবেশ জুড়ে সরকারকে কি ভাবে চাপে রাখা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিরোধী ঐক্য কি ভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। এদিকে যখন বিরোধী ঐক্য রক্ষার আলোচনা হচ্ছে তখন সেই ঐক্যকে ভাঙার চেষ্টা করে বিজেপির কি ভাবে সুবিধা হয় সেই দিকে নজর রাখছে তৃণমূল।
এদিন সংসদের মকর দ্বারের সামনে নতুন শ্রম কোডের বিরোধীতায় বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী সাংসদরা। দাবি ওঠে শ্রম আইন বাতিল করার। 
২৯টি শ্রম আইনকে বাতিল করে চারটি শ্রম কোডের আইন কেন্দ্র সংসদে পাশ করিয়েছিল আগেই। কিন্তু বিরোধিতার কারণে সেই কোড চালুর বিধি জানিয়েছে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছিল না। দেশের প্রায় সব ট্রেড ইউনিয়ন একযোগে এই শ্রম কোডের বিরোধিতায় শামিল। এ বছরই হয়েছে সারা দেশে ধর্মঘট। সেই সব বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে শ্রম কোড চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রে বিজেপি জোট সরকার। কেন্দ্রের শ্রম কোডে কাজের সময়, ন্যূনতম মজুরি থেকে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ বা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার- আক্রমণ আনা হয়েছে প্রায় সব ক্ষেত্রে। 
হু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২৯টি শ্রম আইনে ন্যূনতম মজুরি, কাজের সময়, সামাজিক সুরক্ষা, শিল্পক্ষেত্রে কাজের সুরক্ষা, প্রশাসনিক নজরদারি মেনে চলার বাধ্যবাধকতার এবং যৌথ দরকষাকষির সুযোগ ছিল। নতুন শ্রম কোড দীর্ঘদিনের এই অধিকারকে কেবল লঘুই করছে না, পুরোপুরি বাতিল করে দিচ্ছে আইনকে সরল করার নামে। যার ফলে শ্রমক্ষেত্রকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে মালিকপক্ষ।
শ্রম কোডের ফলে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বাড়বে বলে দাবি করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই দাবি একেবারে মিথ্যে। পুঁজির অত্যাচারের সামনে একেবারে অসুরক্ষিত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণিকে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ধর্মঘটের অধিকার। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদকে ফৌজদারি অপরাধের আওতায় আনার ব্যবস্থা হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment