বিহার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে, দিল্লির লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে এক বিস্ফোরণে রাজধানী জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় ২৪ জন আহত এবং ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লা এবং চাঁদনী চকের মতো জনবহুল এলাকায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে পুরো শহর কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণে আশেপাশের দোকানগুলির দরজা এবং জানালা ভেঙে যায় এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে পার্কিং লটে পার্ক করা একটি গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর একের পর এক গাড়ি ধাক্কা খায়। বিস্ফোরণটি কীভাবে ঘটল? কেন, কী? কে ঘটল? এই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দিল্লি পুলিশ এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে বেশ কয়েকটি বাস এবং অন্যান্য যানবাহনেও আগুন লেগে যায়।
দিল্লি পুলিশের জানিয়েছে বিস্ফোরণটি ছিল একটি সন্ত্রাসীবাদী হামলা। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে বিস্ফোরণটি একটি সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসীবাদী পরিকল্পনার ফলাফল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষে আইইডি’র ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। পুলিশ একজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু এবং ২৪ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে, এনআইএ, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং ফরেনসিক দল সমগ্র এলাকা ঘিরে রেখে তদন্ত করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই সন্ত্রাসীবাদী হামলার যোগসূত্রগুলি তদন্ত করছে। এদিন সকালে ফরিদাবাদের বারি মাতাতে আরডিএক্স এবং অন্যান্য বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে, এই ধরনের ঘটনা মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এখন প্রশ্ন হল এই ঘটনার প্রতিফলন কি বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও পড়বে?
Comments :0