আশ্বিন সংক্রান্তির দিন প্রথা মেনে বনকচুর ডাল খেয়ে বিষক্রিয়ায় জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ২৫ জন গ্রামবাসী। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে আবহাওয়া পরিবর্তনের রোগ প্রতিরোধক হিসেবে গ্রামবাসী বনকচুর ডাল রান্না করে খান। শনিবারও সেই প্রথা মেনে গয়েরকাটার বহু পরিবারে এই 'বন ভাড়ালি' রান্না করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই গলাব্যথা, মুখ ও মাথা ফুলে যাওয়া, চুলকানি এবং মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ নিয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল ও বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গয়েরকাটার সাপ্তাহিক বাজার থেকে বেশ কিছু ক্রেতা বন ভাড়ালি হিসেবে এই বিশেষ কচুর ডাল কেনেন। রবিবার আক্রান্তরা সাপ্তাহিক বাজারের দিনে সেই বিক্রেতাদের খোঁজ শুরু করলে দেখা যায়, বনকচুর ডাল বিক্রেতা দুই নারী-পুরুষই খবর পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
রাজীব দত্ত নামে এক যুবক জানান, "বৃহস্পতিবার বাজার থেকে বন ভাড়ালি ভেবে কিনে আনি। কিন্তু আদতে তা ছিল বিষ কচু। সেই কচু খেয়ে বিরাট সমস্যায় পড়ি। প্রচণ্ড গলা ব্যথা সহ মুখ ফুলে যায়। অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হই।"
অপর এক আক্রান্ত, স্কুল শিক্ষক পাপাই নন্দী জানান, "বাজার থেকে কিনে আনা বন ভাড়ালি খেয়ে আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দোকান থেকে ওষুধ খেয়ে রক্ষা পাই।" এ বিষয়ে গয়েরকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মনোজ পাটোয়া জানিয়েছেন, "কোন বিক্রেতার কাছ থেকে এই জিনিসটি কেনা হয়েছিল এবং কীভাবে ঘটনা ঘটল, এতে বিক্রেতাদের কোনো ভুল রয়েছে কিনা, তা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।"
Banarhat
বনকচু খেয়ে বানারহাটে অসুস্থ ২৫, চিকিৎসাধীন ৫

×
Comments :0