পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ২০১৫-তে। বাড়িতে গোমাংস রাখা হয়েছে খুন করা হয়েছিল মহম্মদ আখলাককে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট প্রমাণ আদালতে দিয়েছেন নিহতের মেয়ে। তা সত্ত্বেও খুনের ধারা তুলে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল। দেশজুড়ে দলবেঁধে পিটিয়ে হত্যার একগুচ্ছ মামলায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে এই মর্মে চিঠি লিখেছেন সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত। রাষ্ট্রপতিকে তিনি বলেছেন যে রাজ্যপালদের নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আপনি উত্তর প্রদেশের রাজ্যপালকে এই পদক্ষেপ বাতিল করতে বলুন।
২০১৫’র সেপ্টেম্বরে মহম্মদ আখলাককে তাঁর বাড়ি ঘিরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল গৌতম বুদ্ধ নগরে। সেই হত্যাকাণ্ড সারা দেশে তোলপাড় ফেলেছিল। বিজেপি সরকারের টালবাহানায় বিচার শুরু হয় ২০২২ সালে। সাক্ষ্য দেন নিহতের কন্যা। এই অবস্থায় উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার অভিযুক্তদের ওপর মামলা তুলে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল তা অনুমোদন করেছেন।
কারাত রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন, ‘‘আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ যোগাযোগের কারণে আমি জানি যে কী ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার মধ্যে তাঁদের যেতে হচ্ছে। বিচারের জন্য কিভাবে সাহস জোটাতে হয়েছে।’’ কারাত জানিয়েছেন মহম্মদ আখলাকের পরিবারের সদস্যরা আহত হয়েছিলেন। তাঁরা এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। সে সময়ে এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করে দেবে।
কারাত লিখেছেন যে দল বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, খুনের মতো ধারা তুলে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে। রাজ্যপালের কী এমন পদক্ষেপের বিপক্ষে পরামর্শ দেওয়া উচিত ছিল না? এই অভিযোগ তুলে নিলে বিচারের আর কী থাকে? দেশে দল বেঁধে পিটিয়ে হত্যার সব ঘটনায় অভিযুক্তদের ছাড় পাওয়ার সুযোগ করে দেবে এই নজির।
Brinda Karat to President
দলবেঁধে পিটিয়ে হত্যায় খুনের ধারা বাতিল কিভাবে? রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বৃন্দা কারাতের
×
Comments :0