SIR DYFI

এসআইআর: সহায়তা কেন্দ্রে চালু ডিওয়াইএফআই’র

রাজ্য জেলা

দার্জিলিঙের খড়িবাড়িতে ভোট এসআইআর নিয়ে সহায়তা কেন্দ্র ডিওয়াইএফআই’র।

এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে ভয় ছড়াচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। সংশয় ছড়াচ্ছে জনমনে। প্রশ্ন রয়েছে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর সংক্রান্ত সমস্ত সহায়তা দিতে রাজ্যের সমস্ত বুথে ভোট অধিকার সহায়তা শিবির চালু করছে ডিওয়াইএফআই।
মঙ্গলবার দার্জিলিঙয়ের খড়িবাড়িতে ‘ভোট অধিকার সহায়তা শিবির’ চালু করেছে যুব সংগঠন। ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার এবং সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা। 
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া মঙ্গলবার থেকেই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিএলও-দের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহের কাজ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন যে ২০০২-র ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে ‘ম্যাচিং’ কত শতাংশ রয়েছে। যাদের নাম নেই তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে এমন কার নাম এই তালিকায় আছে কিনা দেখা হবে, পরিভাষায় যা ‘লিঙ্কিং’। 
কিন্তু সেই সঙ্গে কমিশন বলেছে যে বিদেশি নাগরিকের নাম তালিকায় রয়েছে কিনা দেখা হবে তা-ও। কমিশনের এই নাগরিকত্ব পরীক্ষার এক্তিয়ার আছে কিনা, মঙ্গলবার তা নিয়েও কলকাতায় রাজ্যের সিইও-কে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ীরা। এদিন রাজ্য সিইও দপ্তরে ছিল সর্বদলীয় বৈঠক। 
চক্রবর্তী স্পষ্ট বলেছেন, কাউকে বিদেশি বলে দেগে দিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না। বরং বাদ দিতে হবে মৃত বা ভুয়ো ভোটারের নাম। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যজুড়ে সহায়তার কাজে নামার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
রাজ্যে শেষ ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫’র জানুয়ারিতে। স্বাভাবিকভাবেই অনেক নাম ২৩ বছর আগের তালিকায় থাকবে না। ফলে সংশয় মোকাবিলায় কী করতে হবে সেই প্রচারই চালাচ্ছে ডিওয়াইএফআই।
রাজ্যের প্রায় ৭ হাজার ইউনিট বুথ ভিত্তিক সহায়তা কেন্দ্র করবে, জানান ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ।। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের খড়িবাড়ি থেকে এই ভোটার অধিকার সহায়তা শিবির শুরু হয়েছে। ডিওয়াইএফআই’র বক্তব্য, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ও ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে একজনও প্রকৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া যাবে না।  
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার বলেন, ‘‘প্রতি বুথে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা সহায়তা করবেন। ২০০২-এর ভোটার লিস্ট এবং ২০২৫-র ভোটার লিস্ট ছাড়াও সমস্ত রকমের অন্যান্য সহায়তাও করবেন কর্মীরা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এসআইআর নিয়ে। বিজেপি-তৃণমূল এইভাবে বিভাজন তৈরি করতে চেষ্টা করছে।’’ 
এছাড়াও তিনি বলেন যে প্রতিটি বিএলও-দের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হবে। কোনও জায়গায় পক্ষপাতিত্ব দেখলে ডিওয়াইএফআই লড়াইয়ের পথেই তার বিরোধিতা করবে।

Comments :0

Login to leave a comment