Kerala

“ব্রেইন খাওয়া অ্যামিবা” মোকাবিলায় তৎপর কেরালা

জাতীয়

কেরালায় আবারও বাড়ছে আতঙ্ক—মস্তিষ্ক-খাওয়া অ্যামিবা বা Naegleria fowleri-র সংক্রমণ। এই বিরল কিন্তু প্রাণঘাতী সংক্রমণে ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৬৯টি নিশ্চিত কেস ধরা পড়েছে, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, PAM বা Primary Amoebic Meningoencephalitis সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়ায়, এবং প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে।

চিকিৎসক মহল বলছে, কেরালার এই পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক হলেও মিল্টেফোসিন চিকিৎসা এখন আশার আলো দেখাচ্ছে। দ্রুত শনাক্তকরণ, আইসিইউ পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক ওষুধের ব্যবহারে অনেক রোগীই বেঁচে যাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে মিল্টেফোসিন PAM সংক্রমণে কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। তবে এর চিকিৎসা শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রয়োগ করা উচিত বলে তারা জানাচ্ছেন।

তবে মিল্টেফোসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। চিকিৎসকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, সাধারণত বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, ডিহাইড্রেশন দেখা দিলেও গুরুতর ক্ষেত্রে কিডনি ও লিভারের সমস্যাও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দীর্ঘমেয়াদি টক্সিসিটির ঝুঁকিও তৈরি হয়। ফলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে ওষুধের প্রতিক্রিয়া সংক্রমণের সঙ্গে মিশে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

কেরালায় মিল্টেফোসিন এত কার্যকর হচ্ছে মূলত প্রাথমিক শনাক্তকরণের জন্য। উন্নত হাসপাতাল পরিষেবা, সঠিক তত্ত্বাবধান এবং সরকারি সচেতনতা কর্মসূচির ফলে PAM সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে।

রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তা সংবাদমাধ্যমে বলছেন, “প্রতিরোধই একমাত্র ভরসা।”

Comments :0

Login to leave a comment