Kerala extreme poverty level

চরম দারিদ্রকে হারালো কেরালা, নজির দেশে

জাতীয়

চার বছর আগের ঘটনা, বছর চব্বিশের স্বামীহারা মহিলা, কোল্লাম জেলার চাভারা গ্রামের রামাইয়া পি লড়াই করেছিলেন ক্যান্সারের সঙ্গে। মাথার উপর ছিল না ছাদ, ছিল না কোন রোজগারও। দুই সন্তানকে বড় করার দায়িত্বও ছিল সঙ্গে। বর্তমানে ক্যান্সার থেকে মুক্ত হয়েছেন, স্থানীয় পঞ্চায়েতে কাজও করছেন। রাজ্য সরকারের আবাসন প্রকল্পে মিলেছে ঘরও। মানুষের জনজীবনের যে উন্নতি তা সম্ভব হয়েছে কেরালার দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের অধীনে। 
গোটা রাজ্যে চরম দারিদ্রসীমার নিচে নেই একজনও। স্বাধীনতার পর গোটা দেশে নজির সৃষ্টি করেছে কেরালা। 
কেরালার বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের প্রধান লক্ষ্যই ছিল খাদ্য রোজগার শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বাসস্থান। সরকার নিশ্চিত করেছে একজনও যাতে এই লক্ষ্যের বাইরে পড়ে না থাকে। এই উন্নয়ন প্রকল্প মোট ৬৪ হাজার পরিবারকে সহায়তা করেছে রাজ্য। তাঁদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, খাদ্য নিশ্চিতকরণ, সামাজিক পরিষেবা, বাসস্থান ও জীবনজীবিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে। 
লক্ষ্যমাত্রার ১০০ শতাংশ পূরণ করে কেরালা দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে গণ্য হতে চলেছে যেখানে একজনও চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে নেই। 
কেরালার এলডিএফ সরকারের মন্ত্রী এমবি রাজেশ এই ঘটনাকে রাজ্যের ইতিহাসে গর্বের দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন কেরালা বিশ্বের দ্বিতীয় জায়গা চীনের পর যেখানে একজন ব্যক্তিও চরম দরিদ্র সীমার নিচে নেই। 
রাজেশ আরো বলেন যে, "এই উন্নয়ন প্রকল্প সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক অংশের উন্নতি করেছে। এমনকি যাযাবর জনজাতির কাছেও জীবনমান উন্নয়নের সহয়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে বিশেষ ধারণাই ছিল না এই অংশের।’’
রাজেশের কথায়, ক্ষুদ্র স্তরে অংশ ভিত্তিক নিবিড় পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রত্যেক পরিবারের নির্দিষ্ট প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকার ভূমিকা নিয়েছে। কারো ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, আবার কারও ক্ষেত্রে বাসস্থানের ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রধান সমস্যা খাদ্যের সংকট, সেখানে সেই প্রয়োজনের ভিত্তিতে চলেছে প্রকল্পের কাজ। 
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস অবধি কেরালা জুড়ে ৭০৮৩টি বাড়ি তৈরি করেছে কেরালা সরকার। এই উদ্যোগ জীবমনা উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment