GOUTAM PAL CBI

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরা পর্ষদ সভাপতিকে

কলকাতা

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে জেরা করছে সিবিআই। রাত পর্যন্ত চলছে সিবিআই জেরা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয়েছে তাঁকে।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি নির্দেশ দেন গৌতম পালকে জেরা করতে। পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারও নিজাম  প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন। হাইজোর্ট বলেছে, পর্ষদের সচিব পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। 

এদিন আদালত স্পষ্ট বলে যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পর্ষদ সহযোগিতা করছে না। গৌতম পাল তদন্তে সহযোগিতা না করলে তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। 

বুধবার বিচারপতি তদন্তে গতি বাড়াতেই আর একজন দক্ষ অফিসারকে সিটের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশে বিচারপতি বলেছেন, দুর্নীতি তদন্তের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অফিসারকে অন্যত্র সরানো যাবে না। আদালত বলেছে, শারদোৎসবের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। এই ছুটির পরই নিয়োগ দুর্নীতির রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ২৯ নভেম্বর মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বুধবার এই ওএমআর শিট সংক্রান্ত একটি তদন্ত রিপোর্ট সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে। এই রিপোর্ট পেয়ে আদালত সন্তুষ্ট। 

গৌতম পালের জেরা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেছেন, জেরা হয়েই চলছে। কিন্তু অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে না। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁদের ন্যায় মিলছে না।

এদিন আদালত মন্তব্য করেছে, পর্ষদের কাছ থেকে ওএমআর শিটের যে ডিজিটাইজড কপি চাওয়া হয়েছিল তা পর্ষদ দেয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টাইপ করা প্রিন্ট কপি তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। দুর্নীতির তদন্তকে বিভ্রান্ত করতে পর্ষদ চাতুরি করছে। বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেন যে সিবিআই রিপোর্ট গুরুতর। 

 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এখন জেলে রয়েছেন। তিনি যে সংস্থাকে ওএমআর শিট তৈরি বরাত দিতেন সেই সংস্থাই এখনও বরাত পাচ্ছে। এই সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের অভিযোগ, প্রার্থীর নাম এবং রোল নম্বর স্পষ্ট করে বোঝা যেত না শিটে। 

গত দু’দিনে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির আরও দুই আধিকারিককে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। ধৃতদের নাম পার্থ সেন ও  কৌশিক মাঝি। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল এই সংস্থার আধিকারিকদের। সেই সূত্রেই এর বরাত মেলে। টাকা বিনিময়ে অযোগ্যদের নাম সুপারিশ হিসাবে পাঠানোর পরে তার ভিত্তিতেই প্রভাবশালীমহলের নির্দেশে বিকৃত করা হত ওএমআর শিট।

Comments :0

Login to leave a comment