আসামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আমার সোনার বাংলা গাইলে' রাষ্ট্রদ্রোহ। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ও শনিবার গোটা রাজ্যজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। শুক্রবার কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজের গেটে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে এসএফআই। শনিবার গোটা রাজ্য জুড়ে অন্যান্য সমস্ত ক্যাম্পাসের গেটে প্রতিবাদ জানাবে তারা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসের সামনে এসএফআই বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। শেষে তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আমার সোনার বাংলা গান' গেয়েই কর্মসূচি শেষ করে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী। তিনি বলেন, “হেমন্ত বিশ্বশর্মা, যে ফতোয়া জারি করেছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে ছাত্ররা। আর সেই ছাত্রদের সংগঠিত করবে এসএফআই। আরএসএস-বিজেপির যে বিভেদের রাজনীতি তা এর নিদর্শন। বাংলার মাটিতে বিভেদের শক্তির কোনও জায়গা নেই। রাজ্যের প্রান্তিক ক্যাম্পাস গুলির গেটে ও এসএফআই আমার সোনার বাংলা গাইবে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে।”
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজ গেটে প্রতিবাদ কর্মসূচি করে এসএফআই। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। তিনি বলেন, "বিজেপি-আরএসএস ভারতের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও বাঙালির আত্মপরিচয়কে মুছে ফেলতে চাইছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গানকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে অপমান করা হচ্ছে। বাংলা ছাত্র-ছাত্রীরা তা মেনে নেবে না।" এদিন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও হেমন্ত বিশ্বশর্মার প্রতিকৃতি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
কলকাতাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এসএফআই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা। সীমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্যের বিরোধিতা করে তারা গোটা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে মিছিল সংঘটিত করে। প্রেসিডেন্সি এসএফআই নেতা বিতান ইসলাম বলেন, "রবীন্দ্রনাথের বহুত্ববাদের ভাবনাকে ধ্বংস করতে চাইছে আরএসএস বিজেপি। এর বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য গোটা দেশের ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করবে।"
Comments :0