বাংলাদেশে 'জুলাই সনদ' স্বাক্ষর করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। শুক্রবার জাতীয় সংসদের 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ অনুষ্ঠানে নেতারা স্বাক্ষর করেন। এই সনদে ৭ দফা অঙ্গীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটি সহ চারটি বামপন্থী দল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি।
জুলাই সনদের ৭ দফা অঙ্গীকারে বলা হয়েছে যে এই সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে সংবিধানে তফসিল হিসেবে সংযুক্ত করা হবে। জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। উক্ত সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। গণ অভ্যুত্থানের তাৎপর্যকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। এছাড়াও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুর আহমেদ বকুল বলেন, "বড় রাজনৈতিক দল বিশেষ করে আওয়ামি লিগকে বাদ দিয়ে যে সনদ স্বাক্ষর হলো এটি অগনতান্ত্রিক এবং অবৈধ। ইউনুস সরকারই তো অবৈধ। দেশে আগামীতে আরেকটি সংকট ঘনিভুত হল। আমরা এই সনদ মানিনা। সমুদ্র বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্রবাদের হাতে।"
জুলাই সনদ স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফী রতন বলেন, "ইউনুসের তৈরি কিংস পার্টির গড়া জুলাই সনদের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের সংবিধানকে মুছে দেওয়ার একটি ষড়যন্ত্র ও প্রয়াস। এটি তাদের একটি আকাংখা ছিল। একটি সংবিধানের দুইটি পার্ট উচচ কক্ষ নিম্ন কক্ষ আসন থাকবে কিনা এ গুলো আলোচনা করেই করা উটিত ছিল সেটি নেই। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে মুল নীতি ছিল সেটি ভুলন্ঠিত করা হলো।"
Comments :0