নন্দীগ্রামে ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে ডিওয়াইএফআই'র লেখা দেওয়াল মুছে দিল বিজেপি। প্রতিবাদ করলে বিজেপি নেতারা হুমকি দেয়। বলে যে ‘নন্দীগ্রামে শুধু গীতা পাঠ আর বিজেপির দেওয়াল লিখন করা হবে। কোনও সিপিএমের দেওয়াল লেখা এখানে চলবে না।‘
তবে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নন্দীগ্রামের যুবকরা। বিজেপি নেতাদের সামনেই চলে আবারও দেওয়াল লিখন। তখনই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য, মন্ডল সভাপতি সহ বিজেপি কর্মীরা ডিওয়াইএফআই কর্মীদের ঠেলাঠেলি শুরু করে দেয়। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থনে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের পালটা প্রতিরোধে পিছু হটে বিজেপির এই কর্মীরা।
নন্দীগ্রামে বিজেপি ছাড়া আর কিছু চলবে না- এই মর্মে ভেসে আসছে হুমকি। তার সামনে বুক চিতিয়ে লড়েছেন যুবরা। সঙ্গে রয়েছেন বিভিন্ন অংশের মানুষও। লড়াইয়ের মেজাজেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে নন্দীগ্রামে।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় এই কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সিপিআই(এম)’র প্রার্থী ছিলেন যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি।
নন্দীগ্রামের সামসাবাদ সদানন্দ বাজারে রাস্তার পাশে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য দেওয়াল লেখেন ডিওয়াইএফআই’র কর্মীরা। বুধবার সকালে দেখা যায় সেই দেওয়াল মুছে দিয়েছে কেউ। তখনই যুব নেতা ইব্দুল, রবিউল আলম খান জিয়াউর, জুলফিকার, শাহিদ আনোয়ার, শুভব্রত, সাইফুদ্দিন খান, কায়েস খান, হাসানুর রহমান, শাহ আলম, রুহুল আমিন খান মিলে ফের দেওয়াল লিখতে শুরু করেন।
সেই সময়ই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি’র পঞ্চায়েত প্রতিনিধি প্রদীপ পট্টনায়ক, সনাতন দাস, শুভঙ্কর জানা, বিজেপি কর্মী বিট্টু মন্ডল, সভাপতি গৌতম মন্ডলরা। হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, দেওয়াল লেখা যাবে না। চলে তীব্র হুমকি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।
উভয় পক্ষ তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। বিজেপি হুমকি দেয়, আবারও দেওয়াল মুছে দেওয়া হবে। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে যুবকর্মীরা জানান, ‘ক্ষমতা থাকে দেওয়াল ফের মুছে দেখাও’।
এলাকার বাসিন্দারাও চেপে ধরেন বিজেপি’র স্থানীয় নেতা কর্মীদের। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য এবং মন্ডল সভাপতি ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হন। তাঁরা বলেন যে ভুল করে দেওয়াল মোছা হয়েছিল। আর এমন হবে না।
Comments :0