বিহারে ইশ্তেহার প্রকাশ করলো মহাগঠবন্ধন। নির্বাচনের আগে বিহারের বিরোধীরা তাঁদের ইশ্তেহার প্রকাশ করেন। যেখানে চাকরির প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ইশ্তেহারে বলা হয়েছে, সরকার গড়ার ২০ দিনের মধ্যে প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ভোটারদের কাছে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো। চলতি বছর লোকসভায় যে ওয়াকফ বিল পেশ করা হয়েছে তা লাগু হবে না বিহারে। তেজস্বী বলেছেন তাঁরা সরকার গড়লে এটিকে বাতিল কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দেওয়া হবে।
ইশ্তেহার প্রকাশ করে আরজেডি নেতা এবং ‘মহাগঠবন্ধন’-র মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ তেজস্বী যাদব বলেন, কেবল সরকার গড়ার কথা আমরা বলছি না। আমরা বিহারকে নতুন করে গড়ার কথা বলছি। নতুন করে রাজ্যকে গড়তে চাই। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী, ভবিষ্যৎকে কিভাবে দেখছি তার নমুনা এই ইশ্তেহার তৈরি হয়েছে। বিহারের মানুষের কথা নিয়ে ‘সংকল্প পত্র’ তৈরি করে একসঙ্গে মহাগঠবন্ধনের সব দল।
জাতীয় কংগ্রেসের নেতা পবন খেরা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সব অংশের সঙ্গে কথা বলে এই ইশ্তেহার। সকলের জীবনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এমন বিষয় রাখা হয়েছে ইশ্তেহারে।
সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছেন যে ‘মহাগঠবন্ধন’ ইশ্তেহার তৈরির জন্য আলাদা সাব কমিটি গড়েছিল। রাজ্যের সব অংশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটি। তার ভিত্তিতেই ইশ্তেহার করা হয়েছে। বিহারের সব অংশের বিকাশের দিকে লক্ষ্য রেখে ইশ্তেহার তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, যুব, মহিলা, বিশেষভাবে সক্ষম- এমন সব অংশের কথা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বিহারে পার্টির প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অবধেশ কুমার বলেছেন, টানা প্রায় কুড়ি বছর ধরে কুশাসনের নমুনা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ নীতীশ কুমারের সরকার। দেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার সংকট বিহারে, কর্মসংস্থানের সমস্যা সবচেয়ে বেশি বিহারে। মহিলাদের ওপর নিয়মিত অত্যাচার চলছে। সমাজের প্রান্তিকতম অংশ আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। এই ভোট বিহারকে বদলানোর লড়াই।
সিপিআই নেতা রামনরেশ পাণ্ডে বলেন, বিহারে সম্পূর্ণ পরিবর্তনের জন্য এই ইশ্তেহার।
ইশ্তেহারে আরও বলা হয়েছে যে মহিলাদের ও চুক্তিভিত্তিক সমস্ত শ্রমিকদের স্থায়ী করা হবে। এবং তাঁদের পেনশনের আওতায় আনা হবে। ডিসেম্বর থেকেই 'মা-বহিন মান যোজনাতে' মহিলারা ২৫০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন।
এছাড়াও ঘোষণা করে হয়েছে প্রত্যেক পরিবারকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সামাজিক নিরাপত্তা পেনশনের আওতায়, বিধবা এবং বয়স্করা মাসিক ১৫,০০২ টাকা পেনশন পাবেন, যা বার্ষিক ২,২০০ টাকা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মাসিক ৩,০০০ টাকা পেনশন পাবেন।
Comments :0