বুথে সবার হাতে এসআইআর’র ফর্ম তুলে না দেওয়া গেলেও বিএলও’দের প্রসাশনিক দপ্তর থেকে বারে বারে ফোন করে সবার হাতে ফর্ম তুলে দেওয়া গেছে এমন রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএলওদের। তাদর আরও অভিযোগ ট্রেনিং’র সময় যা বলা হয়েছিলো, ফিল্ডে কাজ শুরুর পর দফায় দফায় বাড়তি নির্দেশে নাজেহাল এসআইআর কাজের সঙ্গে যুক্ত বিএলওরা। বাড়তি কাজের চাপের প্রতিকার চেয়ে মেদিনীপুর সদর বিডিও দপ্তরে লিখিত স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিএলওরা।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের বক্তব্য, সামনেই বাৎসরিক পরীক্ষা মূল্যায়ন। স্কুল কামাইতে স্কুলের শিশুরা কান্নাকাটি করছে। অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত। স্কুলের ডিউটি, শিশুদেরও পরীক্ষা, তার সঙ্গে প্রবল কাজের চাপ তাঁরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ট্রেনিং দেওয়ার সময় বলা হয়েছিলো বাড়ি বাড়ি ভোটারের হাতে এসআইআর ফর্ম তুলে দিয়ে তার কাগজ পত্র পর্যবেক্ষণ করেই ফর্ম জমা নিয়ে অফিসে জমা দেওয়ার কাজ। যে বুথে ১২০০ বেশি ভোটার সেখানে একজন করে সহকারি বিএলও থাকার কথা বলেছিলো প্রসাশন। এখন সহকারি বিএলও তো দূরের কথা এখন এসআইআর ফর্ম আপলোড করার কাজও বিএলও দের উপর চাপিয়ে দেওয়ার হয়েছে বলে অভিযোগ। এই দায়িত্ব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার বিক্ষোভ হয় বিএলওদের।
বিক্ষোভকারীরা বিডিও কে ও বলেন, এনামুরেশন কাজের জন্য তারা কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না, দেশের স্বার্থে এই কাজ করে দেবে, সেই টাকায় ডাটা এন্ট্রি লোক লাগিয়ে করুক প্রসাশন। অনেকেই বলেন কোনো কোনো বুথে দেড় হাজার অধিক ভোটারের দুই পার্ট। সেখানে এখনেও ২৫০-৩০০ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেখানে বলা হচ্ছে সবার হাতে ফর্ম তুলে দেওয়া হয়েছে এমন রিপোর্টের কাগজ পত্র জমা দিতে। এমন বেআইনি নির্দেশে চাকরি নিয়ে টামাটানি হলে কে পাশে দাঁড়াবে। তাই এই কাজ থেকে অনেকেই অব্যাহতি চাইছেন। মেদিনীপুর শহরের ২৩৬/২২১ বুথের বিএলও বিনীতা সাহুর অভিযোগ, ‘সংসার আর স্কুল সামলে এক মাসের মধ্যেই এক হাজারের বেশি ফর্ম বিতরণ আর সংগ্রহ করা। তার সঙ্গে আবার ডেটা এন্ট্রি? আর পারছি না! দয়া করে আমাদের অব্যাহতি দিন।
মেদিনীপুর শহর ও সদর ব্লকের বিএলও’রা বিডিও অফিসে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের ডেটা এন্ট্রিও করতে হবে। তারপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএলও’রা। সঞ্জিত ঘনা, সৌমেন বিদ-সহ মেদিনীপুরের একাধিক বিএলও বলেন, ‘ডেটা এন্ট্রি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। দয়া করে আমাদের এই কাজ থেকে অব্যাহতি দিন। এই কাজে দক্ষ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর রাখুন।’বয়স্ক এবং অনেক বিএলও অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারে একেবারেই অভস্থ নন। কাজেই ডেটা এন্ট্রি করতে গিয়ে কিছু ভুল হলে, তার দায়িত্ব কে নেবে, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিডিও কাহেকাশান পারভিন বলেন, ‘বিএলওদের একাংশের কিছু দাবি ও অভিযোগ ছিল। তা আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সহকারী বিএলও দেওয়ার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। মাপকাঠি অনুযায়ী, তাঁরা সহকারী বিএলও পাবেন।’
Midnapore
মেদিনীপুর বিডিও দপ্তরে বিক্ষোভ বিএলওদের
×
Comments :0