চিন্ময় কর
শতাধিক পড়ুয়ার জন্য ছিলেন দুই শিক্ষক। তাঁদের দু’জনকেই দেওয়া হয়েছে বিএলও’র দায়িত্ব। ফলে পরপর তিনদিন শিক্ষকহীন স্কুল। এমন ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের যাদবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
এই স্কুলে প্রথমে এক শিক্ষককে এসআইআর’র জন্য বিএলও করা হয়। গত মঙ্গলবার থেকে আরেক শিক্ষককে সহকারী বিএলও হিসাবে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টানা কয়েক দিন পঠনপাঠন লাটে ওঠে। অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন অন্য স্কুল থেকে একজন পার্শ্বশিক্ষককে অস্থায়ী হিসাবে পাঠিয়ে স্কুল নামমাত্র চালু রাখার ব্যবস্থা করেন।
একদিকে কমিশনের হঠাৎ হঠাৎ নির্দেশ। আরেকদিকে রাজ্য প্রশাসনের পরিকল্পনার অভাব। দুয়ের দায় নিতে হচ্ছে স্কুলপড়ুয়া শিশুদের। এসআইআর’র জন্য প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগ করে পঠনপাঠনকে কোথায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তার একটি নমুনা যাদবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অভিভাবক সুমন ঘোষ, জয়ন্ত ঘোষ, সেক সইফুলরা বলছেন, এমনিতে শিক্ষক অভাব গ্রামের এই স্কুলে। ১১৯ জন পড়ুয়ার জন্য মাত্র দুই শিক্ষক। এসআইআর কাজে তাঁদেরও তুলে নিয়ে পঠনপাঠন লাটে তুলে দিলো। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। এ বছর চার মাসে ৬ বার বন্যার কারণে স্কুলগুলি অচল ছিল। তারপরও এমন খামখেয়ালি নির্দেশ দিয়ে চলেছে প্রশাসন। অভিভাবকরা বলছেন, আমরা গ্রামে থাকি বলে আমাদের ঘরের পড়ুয়ারা না পড়লেও হয়, এমন মনোভাব নিয়ে চলছে সরকার। ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার অন্য স্কুল থেকে একজন পার্শ্বশিক্ষক এনে স্কুল চালু রাখা হয়। শুক্রবারও এই ভাবে স্কুল চলেছে। চারটি শ্রেণির শতাধিক পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুল না হাট বসেছে বোঝা মুশকিল।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের স্কুল পরিদর্শক কৌশিক ঘোষ বলেন, সমস্যা হচ্ছে আমরা জানি। নির্বাচন কমিশনের কাজ। আমরা রেজিস্ট্রার ধরে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকার নাম পাঠাই। কাকে দায়িত্ব দেবে কমিশন তা আমাদের হাতে নেই। তবে ৪ তারিখের পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিস্থিতি।
তবে দুই শিক্ষককেরই নাম বিএলও’র জন্য পাঠানো হলো কোন বিবেচনায় সে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাই।
Comments :0