যারা দাম দিয়ে টিকিট কেটেছেন তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীয়া মন্ত্রী সহ এই খেলার ব্যাবস্থাপক যারা ছিলেন তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়াও যুবভারতী স্টেডিয়ামের যে ক্ষতি হয়েছে তা আয়োজকদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথাগুলি বলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। গত শনিবার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে চরম অব্যবস্থা হয়। দর্শকরা চড়া দামে টিকিট কেটেও দেখতে পাননি ফুটবলের এই মহাতারকাকে। বিক্ষোভ নেমে পড়ে মাঠে। গোটা দেশ এবং বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত হয়েছে ভারতীয় ফুটবলের মক্কা কলকাতা। একা শতদ্রুর ওপরই দোষ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে কিনা সে প্রশ্ন তুলে সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রী ও ঘনিষ্ঠরা খেলার মাঠে দখলদারি চালিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতার যে সন্মানহানি হয়েছে তা কি ভাবে উসুল কবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বলতে হবে। শনিবার কয়েক হাজার টাকা খরচ করে মেসিকে দেখতে এসেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু মেসিকেই তাঁরা দেখতে পেলেন না। মেসির অনুষ্ঠানে তৃণমূলের নেতাদের দেখতে হবে কেন এই প্রশ্নই তুলে সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই রাজ্যে আগেও পেলে, মারাদনা এসেছেন কিন্তু কখনও এই পরিস্থিতি হয়নি। এর জন্য খেলোয়ারের মতো মনোভাব লাগে। কালোবাজারি মনোভাব থাকলে তা হয়না। তিনি অভিযোগ করে বলেন সেসিকে নিয়ে কালো বাজারির মনোভাবের কারণেই রাজ্যের সন্মান হানির ঘটনা।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পদত্যাগ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বর্ধমানে মিছিল।
এদিন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পদত্যাগ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বর্ধমানে মিছিল ও প্রতিকৃতি পোড়ানো হয়েছে। শনিবার কলকাতা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এক বেনজির দুর্নীতি ও অরাজকতার ছবি দেখে দেশের মানুষ। কলকাতা সহ গোটা বাংলার দুর্নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশ সহ বিশ্বে। বিশ্বমানের ফুটবলার লিওনেল মেসিকে কলকাতায় আসাকে কেন্দ্র করে আয়োজক ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই সমগ্র ঘটনার জন্য দায়ী করে বর্ধমানে প্রতিবাদ সভা হয়। টিকিট কেটেও মানুষ তাঁর স্বপ্নের ফুটবলারকে চোখে দেখতে পেলোনা। কার্যত মন্ত্রী, নেতা, তাঁদের পরিবার সহ তৃণমূলের তাবেদার অভিনেতা, অভিনেত্রীরা ঘিরে রাখে মেসিকে। ক্ষোভে ফেঁটে পরে জনগণ। তৈরি হয় কলঙ্কজনক পরিবেশ। এক কথায় টিকিট বিক্রির নামে চললো দুর্নীতি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সিপিআই(এম) বর্ধমান শহর ৪ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে বীরহাটা আরজি ভবন থেকে পুলিশ লাইন বাজার পর্যন্ত মিছিল হয় এবং শেষে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ছবি জ্বালানো হয়।
Comments :0