খড়দহে একই পরিবারের চারজনের দেহ উদ্ধার। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার অন্তর্গত বলরাম হসপিটালে এম এস মুখোপাধ্যায় রোডে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করতেন কাপড়ের ব্যবসায়ী বৃন্দাবন কর্মকার। স্ত্রী-র প্রেমিকের কথা জানতে পেরে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন স্বামী। অভিযোগ স্বামীর কথায় গুরুত্ব দেয়নি স্ত্রী।
তারপরই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে নিজের ছেলে ও মেয়েকেও খুন করে আত্মহত্যা করলেন বৃন্দাবন কর্মকার।
স্থানীয়রা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় অপর তিনজনকে মেঝেতে রক্তাক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। ঘরের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। দেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে বৃন্দাবন কর্মকারের স্ত্রীর নাম দেবশ্রী কর্মকার মেয়ে দেবলীনা কর্মকার(১৬)। ছেলের বয়স ৮ যদিও নাম জানা যায়নি তার।
ডি সি সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য জানান, ঘরের মধ্যে থেকে একটি সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু সেই সুসাইড নোট নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তাঁর বক্তব্য পুরোটাই তদন্তের বিষয় এবং যে সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে সেটা বৃন্দাবন কর্মকারের হাতের লেখায় লেখা কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখবে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। পরিবারের সদস্যদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃন্দাবন কর্মকার। যদিও এই ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। স্ত্রীর পরকিয়ার সম্পর্কের জেরেই গৃহকর্তা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
Comments :0